কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলায় তুরস্ক সফর বাতিল করল মোদী
নয়াদিল্লি: ভারতের ৩৭০ ধারা বাতিল ইস্যুতে পাকিস্তানের সুরে সুর মিলিয়েছিল তুরস্ক। প্রশ্ন তোলা হয় ভারতের এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েও। তুরস্কের এহেন ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ আচরণের জেরে আপাতত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আঙ্কারা সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের মতামতকে সমর্থন জানিয়ে মোদী সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, কাশ্মীর ইস্যুকে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির থেকে কোনওভাবেই আলাদা করা যায় না। তাই আলাপ-আলোচনা, সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমেই এই সমস্যা মিটিয়ে নেয়া প্রয়োজন; সংঘর্ষের মাধ্যমে নয়।
চলতি বছরের জুনে জাপানের ওসাকায় এরদোয়ানের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎকালে এ সফরের বিষয়ে আলোচনা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষে তুরস্ক সফর করার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদীর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে আমলে দিতে চায় না ভারত। কারণ, কাশ্মীরের প্রসঙ্গটি সম্পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এমনকি কাশ্মীর ইস্যু কী, তা তুরস্ককে বুঝিয়েও দেয়া হয়েছে, যাতে তারা এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকে।
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর প্রথম থেকেই মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পাকিস্তান। একমাত্র ‘বন্ধু’ চিনকে পাশে নিয়ে বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলেও টেনে নিয়ে গেছে তারা। তবে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। দরজায় দরজায় ঘুরেও, সব জায়গা থেকেই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে।
অন্যদিকে ভারত শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মহলকে পাশে পেয়েছে, সকলে বলেছেন কাশ্মীর ভারতের সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যাপার। এ বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের কোনও মধ্যস্থতার দরকার নেই। ফলে চাপ বেড়েছে পাকিস্তানের।