ভারতের সংবিধানে ওয়াকফ বোর্ডের কোনও স্থান নেই, বিশেষ সম্প্রদায়কে তুষ্ট করতেই এই ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে: মোদী
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: সংবিধানের বাইরে ওয়াকফ বোর্ড এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওয়াকফ আইন ও ওয়াকফ বোর্ডের অস্তিত্ব নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ‘ভারতের সংবিধানে ওয়াকফ আইনের কোনো স্থান নেই, তবুও বিশেষ সম্প্রদায়কে তুষ্ট করার জন্য এই ধরনের ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। তার মতে, এই পদক্ষেপগুলি দেশের সমতার নীতি এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণার পরিপন্থী।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ সৃষ্টি করেছে। মোদি বলেন, “ভারতের সংবিধান সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ ও সমতা নিশ্চিত করার কথা বলে। কিন্তু ওয়াকফ বোর্ডের মতো ব্যবস্থা তৈরি করে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এটি ভোট ব্যাংকের রাজনীতির একটি অংশমাত্র।”
মোদি তার সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলিকে তুলে ধরে বলেন, তার নেতৃত্বাধীন সরকার সবসময়ের জন্য সকলের নীতিতে বিশ্বাসী এবং বিশেষ কোনো সম্প্রদায়কে তুষ্ট করার চেয়ে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়।
অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর প্রয়াস বলে চিহ্নিত করেছে। তারা বলছে, ওয়াকফ বোর্ড একটি সাংবিধানিক নয়, বরং ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রয়োজন মেনে গঠিত একটি প্রতিষ্ঠান, যা বহু বছর ধরে কাজ করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।