Tuesday, April 29, 2025
রাজ্য​

দেশের স্বাধীনতায় বাঙালির অবদান উল্লেখযোগ্য, হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছেন তাঁরা: মোদী

কলকাতা: বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদী। ভাষণে মোদী বলেন, ভারতের পরম্পরা, রাষ্ট্রবাদ প্রচার করেছে গুরুদেবের বিশ্বভারতী। ভারতমাতা ও বিশ্বের মেলবন্ধন বিশ্বভারতী।

নমো বলেন, কবিগুরুর কাছ থেকেই আত্মনির্ভর ভারতের সূচনা হয়েছিল। দেশের কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প, সাহিত্যকে আত্মনির্ভর দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। গুরুদেবের সেই ভাবধারাকে মনে রেখে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এবছর পৌষমেলা হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে মোদী বলেন, এই করোনার জেরে এবছর পৌষমেলা হচ্ছে না। পৌষমেলা সরকারের ভোকাল ফর লোকাল স্লোগানের আক্ষরিক রূপ। পৌষমেলা না হওয়ায় শিল্পীদের ক্ষতি হয়েছে। তাই তাঁদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে তাঁদের তৈরি পণ্য় অনলাইনে বিক্রির উদ্য়োগ নেওয়ার আর্জি জানান তিনি।

পাশাপাশি, নমোর এদিনের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকী, বীণা দাস, প্রীতিলতা ওয়েদেদ্দারদের নামও শোনা যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের আত্মা, আত্মসম্মান, আত্মনির্ভরতা একে অপরের সঙ্গে সংম্পৃক্ত। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে বাঙালির অবদান উল্লেখযোগ্য়। তাঁরা সকলে হাসতে হাসতে দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

উল্লেখ্য, এদিন ৩৫ মিনিটের ভাষণ দেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ভাষণে উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি, ভারতের জাতীয়তাবাদ, বাংলার রেনেসাঁ থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন, ইতিহাসের কথা। প্রধানমন্ত্রীর আশা, রবীন্দ্রনাথকে পাথেয় করে আগামীদিনে বিশ্বভারতীর থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাবে দেশ।

Somoresh Sarkar

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ ৫ বছর ধরে।