Wednesday, April 23, 2025
Latestআন্তর্জাতিক

শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সম্মাননায় আরও একটি পালক যুক্ত হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুকুটে। ভারত-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক জোরদারে অনন্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ পদক’-এ ভূষিত করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। এ সম্মাননা আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদির প্রভাব ও ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও দৃঢ় করল, যদিও এতে অস্বস্তিতে পড়েছে চীন।

‘মিত্র বিভূষণ পদক’ মূলত দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সাংস্কৃতিক ঐক্যকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রবর্তিত হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে প্রদত্ত পদকটির নকশায় রয়েছে ভারত-শ্রীলঙ্কা সম্পর্কের নানা প্রতীক—বৌদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক ধর্মচক্র, সমৃদ্ধির প্রতীক পুন কলস, নয়টি মূল্যবান রত্নের সমষ্টি ‘নবরত্ন’, এবং পদ্মের পাপড়িতে আবদ্ধ এক গোলক যা চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। পদকে খোদাই করা সূর্য ও চাঁদের প্রতীক দুটি জাতির চিরায়ত সম্পর্ককে নির্দেশ করে, যা অতীত থেকে ভবিষ্যতের দিকে প্রসারিত।

এই সম্মাননা প্রদান করেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা দিশানায়েক, মোদির দ্বীপদেশ সফরের সময়ে। সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদি শ্রীলঙ্কার ঐতিহ্যবাহী ‘রামায়ণ পুতুলনাচ’ উপভোগ করেন, যা দুই দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের গভীরতাকে প্রতিফলিত করে।

উল্লেখ্য, এ নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ২২টি আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হলেন। এর আগে, চলতি বছরের ১১ মার্চ মরিশাস সরকার তাকে তাদের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রদান করেছিল। ভারতের নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন প্রভাব বিস্তার এবং চীনের উপস্থিতির মাঝে শ্রীলঙ্কা সফর বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এই পদকপ্রাপ্তি কেবল মোদির ব্যক্তি মর্যাদাকেই তুলে ধরে না, বরং দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে ভারতের অবস্থানকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। ভারতের “নেবারহুড ফার্স্ট” নীতির সাফল্যের প্রতিফলন হিসেবেও এটি বিবেচিত হচ্ছে।