সরকারেরও লিমিট আছে, বাড়িতেই হবে করোনার চিকিৎসা: মমতা
কলকাতা: এবার থেকে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা চাইলে তাঁর বাড়িতেই করা হবে। হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা করা হবে, সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যাদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জায়গা রয়েছে তাঁরা চাইলে বাড়িতে থেকেও চিকিৎসা নিতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, লাখ লাখ মানুষকে তো কোয়ারেন্টাইন করা যায় না। সরকারেরও লিমিট আছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাদের বাড়িতে জায়গা রয়েছে, আইসোলেশনে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে, তাঁদের কারও করোনা হলে, বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইন করে রাখা যাবে। হোম কোয়ারেন্টাইন সবচেয়ে ভালো মডেল। সকলেই চান নিজের বাড়িতে থাকতে। ফলে যদি কেউ মনে করেন, তাহলে তাঁরা বাড়ি থেকে চিকিৎসা করতে পারবেন। স্বাস্থ্য দফতর গোটা প্রক্রিয়াটা মনিটারিং করবে। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে বাড়িতেই চিকিৎসা হতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অনেকে নিজের বাড়িতে থাকাটা ভালো মনে করেন। একটা হাসপাতালে গেলে বরং অনেক রকম রোগী আসে, অনেক রকম সমস্যা থাকে। কিন্তু ঘরটা কিন্তু নিজের মতো করে করা যায়। যদি কেউ মনে করে ঘরটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে আরও সুন্দর করে রাখব শুধু নিজের জন্য। আমি কারও সথে মিশব না। আমি আমার মতো থাকব। তাহলে মনে রাখবেন হোম কোয়ারেন্টাইনটা সব থেকে মডেল কোয়ারেন্টাইন। সারা পৃথিবীতে অনেক জায়গায় এটা কিন্তু চালু হয়ে গিয়েছে। এমনকি যাদের করোনা পজিটিভ, সিম্পটমস নেই, তারা কিন্তু বাড়িতেই থাকছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, কেউ যদি মনে করেন বাড়িতে থেকে টিটমেন্ট করবেন, কোনও অসুবিধা নেই। এদের ফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর উঠছে নানা প্রশ্ন। মারণ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যখন প্রশিক্ষিত চিকিৎসক নার্সরা হিমসিম খাচ্ছেন তখন সাধারণ মানুষ কিভাবে সামলাবেন? হোম কোয়ারেন্টাইনের দ্বারা সংক্রমণ ছড়ালে তার দায় নেবে কে? দেশের অন্য কোনও রাজ্য, এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারও এমন কোনও নির্দেশিকা দেয়নি। তাহলে কার নির্দেশিকার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর, উঠছে প্রশ্ন?