৮২ বছরে এই প্রথম, লকডাউনের রেকর্ড অঙ্কের ব্যবসা করল পার্লে-জি
মুম্বাই: সস্তায় সাময়িক খিদে মেটাতে কিংবা চায়ের সাথে খেতে পার্লে-জির জুড়ি মেলা ভার। লকডাউনে পার্লে-জি বিস্কুটের ওপরেই ভরসা রেখেছেন ভারতবাসী। কারণ, লকডাউনের মধ্যে দেশজুড়ে যে পরিমাণ পার্লে-জি বিক্রি হয়েছে তা ৮২ বছর পুরনো এই ব্র্যান্ডের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মার্চ–এপ্রিল–মে এই ত্রৈমাসিকে পার্লে বাজারে নিজের পাঁচ শতাংশ শেয়ার বৃদ্ধি করেছে। যার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ এসেছে পার্লে-জি বিস্কুটের থেকে। ১৯২৯ সাল থেকে পথ চলা শুরু পার্লের। ১৯৩৮ সাল থেকে দেশের বিস্কুটের বাজারে পার্লে-জি একটি পরিচিত ব্র্যান্ড। পার্লে প্রোডাক্টস এই বিস্কুটের ব্র্যান্ডের মালিক।
সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, মার্চ, এপ্রিল এবং মে- এই ত্রৈমাসিকে যা আয় হয়েছে, বিগত ৮২ বছরের কোনও ত্রৈমাসিকেই তা হয়নি। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে বিশ্বের জনপ্রিয় বিস্কুটের ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল পার্লে-জি।
পার্লে প্রোডাক্টসের ক্যাটগরি প্রধান ময়ঙ্ক শাহ জানিয়েছেন, লকডাউনে সাধারণ মানুষের বিস্কুট হয়ে উঠেছে পার্লে-জি। যাঁরা রুটি কিনতে পারছেন না, তাঁরা এটিকে খাবার হিসাবে বেছে নিয়েছেন। অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও বিপুল পরিমাণে বিস্কুট কিনেছে। সরকারও অনেক অর্ডার করেছে। সব মিলিয়ে বিক্রির পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে। সংস্থার জন্মের পর থেকে এক ত্রৈমাসিকে এত বিস্কুট বিক্রি হয়নি।
উল্লেখ্য, একদিনে ৪০ কোটি পার্লে-জি বিস্কুট উৎপাদন করা হয়। মজার তথ্য হল- একমাসে উৎপাদিত পার্লে-জি বিস্কুট পাশাপাশি রাখলে সেটি পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বকেও ছাপিয়ে যাবে। আর একবছরের পার্লে-জি বিস্কুট পাশাপাশি রাখলে পৃথিবী ১৯২ বার ঘুরে এলে যা দূরত্ব পার করা যায়, তা পার হয়ে যাবে।