পাকিস্তানি মুসলিম নারীকে নাগরিকত্ব দিল ভারত
নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। এর মাঝেই জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা পাকিস্তানি মহিলাকে নাগরিকত্ব দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ২০০০ সালে আবেদন করেছিলেন খাতিজা পারভিন। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই পাকিস্তানের প্রাক্তন বাসিন্দা খাতিজাকে সোমবার নাগরিকত্ব দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
পুঞ্চের উপ-জেলাশাসক রাহুল যাদব জানান, খাতিজা পারভিন পুঞ্চের বাসিন্দা মহম্মদ তাজের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হওয়ার পরে ২০০০ সালে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। সোমবার তাঁকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। উনি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
নাগরিকত্ব পেয়ে ভীষণ খুশি খাতিজা ও তাঁর স্বামী। তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। কাশ্মীরিদের বিয়ে করে বহু পাক মহিলাই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন। বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
A Pakistani Muslim woman Khatija Parveen, married to an Indian man Mohammad Taj, in border district Poonch of #Jammu & #Kashmir , granted Indian citizenship. Document of Indian citizenship handed over to her by DDC Poonch. #CAA has nothing to do with it. pic.twitter.com/GvZiJgiLzf
— Dr Jitendra Singh (@DrJitendraSingh) December 24, 2019
ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পর খাতিজা পারভিন বলেন, আমি ১৯৮৩ সালে মহম্মদ তাজের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি এবং ২০০০ সালে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলাম। আমাকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ায় আমি খুব খুশি হয়েছি। আমাকে নাগরিকত্ব দেওয়ায় জন্য মোদী সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
নয়া নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যেসব হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান এবং পার্সি ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ এর আগে ভারতে এসেছেন তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু নয় বলে মুসলমানদের সিএএ-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
মোদী সরকার বলেছে, প্রতিবেশী তিনটি ইসলামিক দেশ থেকে মুসলমানরাও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে নাগরিকত্ব আইনের বিদ্যমান বিধানের আওতায়।