সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আতঙ্কে হাসপাতালগুলিকে তৈরি থাকার নির্দেশ ইমরান-সরকারের
ইসলামাবাদ: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। ঘটনার ১০০ ঘণ্টার মাথায় খতম করা হয়েছে হামলার মাস্টারমাইন্ডকে। কাশ্মীর জুড়ে জোরকদমে চলছে জঙ্গিদমন অভিযান। এদিকে, রাজধানী দিল্লিতে দফায় দফায় বৈঠকে ব্যস্ত জাতীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। অন্যদিকে, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন ভারত হামলা করলে পাল্টা হামলায় নামবে পাকিস্তানও। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানি হাসপাতাল গুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে ইমরান সরকার।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে যে, ভারতের সঙ্গ যুদ্ধের প্রস্তুতি তারা শুরু করে দিয়েছে। কোয়েটা ক্যান্টনমেন্ট স্থিত পাক সেনার বেস হেডকোয়ার্টাস কোটা লজিস্টিকস এরিয়ার (HQLA) পক্ষ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি জিলানি হাসপাতালে একটি চিঠি পাঠানো হয়, যেখানে ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে চিকিৎসা সংক্রান্ত বন্দবস্তের কথা বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের প্রশাসনের তরফে, নিলম, ঝলাম, রাওয়ালকোট, কোটলি ইত্যাদি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় কড়া জবাব দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেনাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ক্রমেই জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।