বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ মিলল মাদ্রাসা ছাত্রের বয়ানে
নয়াদিল্লি: পাকিস্থানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হামলায় নিহত জঙ্গির সংখ্যা নিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে। এই হামলায় কত জঙ্গি নিহত হয়েছে তার সংখ্যা নিয়ে বারবার মোদী সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। এর মধ্যেই জানা গেল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানহানার পরে জইশ-ই-মহম্মদ পরিচালিত মাদ্রাসার ছাত্রদের সরিয়ে দেয় পাকিস্থানি সেনা। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে পাওয়া গেল সেনা-সন্ত্রাসবাদী জোটের প্রমাণ। বালাকোটে জঙ্গিঘাঁটিতে বোমা ফেলে ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান। তীব্র বিস্ফোরণের পরে সন্ত্রাসবাদী জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠী পরিচালিত স্থানীয় মাদ্রাসায় ছুটে যায় পাক সেনা। সেখান থেকে পড়ুয়াদের বের করে নিরাপদ আশ্রয়ে তারা পৌঁছে দেয় বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার এক পড়ুয়ার আত্মীয়।
ওই আত্মীয় আরও জানিয়েছেন, বিমানহানার আগে প্রায় সাত-আট দিন ধরে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলি পাহারা দিতে মোতায়েন ছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। জইশ পরিচালিত মাদ্রাসা তালিম-উল-কোরানের পড়ুয়াদের মূল জৈশ সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশে তাদের সেখানেই রাখা হয়েছিল বলে দাবি। নাগাড়ে তিন দিন ছাত্রদের সেই আশ্রয়ে রাখা হয়েছিল।
মাদ্রাসা পড়ুয়ার আত্মীয় আরও জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানহানার পরে কিছু পড়ুয়াকে মাদ্রাসা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও কিছু ছাত্র সেখানে রয়ে যায়। বিস্ফোরণের পরে তাদের কী পরিণতি হয়েছে, তা স্পষ্ঠ জানা যায়নি। এই কারণেই বিমানহানায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে মিলছে না সঠিক তথ্য, মনে করছেন গোয়েন্দারা।