Saturday, April 20, 2024
সম্পাদকীয়

ওরাল সেক্স বিপজ্জনক বাড়ছে গনোরিয়া

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেছে, মুখে মুখে যৌনতা বা ওরাল সেক্সের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ংকর যৌন রোগ গনোরিয়া। ডব্লিউএইচও প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওরাল সেক্সের মাধ্যমে যদি কারও গনোরিয়া রোগটি হয়ে যায়, তাহলে তা নিরাময় করা খুবই কঠিন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা অসম্ভবও বটে।

৭৭ টি দেশের উপর করা ডব্লিউএইচও পরিসংখ্যান দেখায় যে, এই সংক্রমণ পুরোনো এবং এটি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দরিদ্র দেশগুলিতে প্রতিবন্ধকতা সনাক্ত করা খুবই কঠিন ব্যাপার।

ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌনতার ফলে ছড়ানো ব্যাকটেরিয়া এত বেশি দ্রুত ছড়ায় যে আর এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। জীবাণু অরক্ষিত যৌনতা, মৌখিক যৌনতা, ওরাল সেক্স ও পায়ুকামের মাধ্যমে গলা থেকে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে যেতে পারে।   বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ মানুষ যৌনতার মাধ্যমে সংক্রমণজনিত গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। এটির ফলে প্রদাহজনিত রোগ, বন্ধ্যাত্ব এবং এইচআইভির ঝুঁকি বাড়ায়। গর্ভাবস্থায় গনোরিয়া রোগের সংক্রমিত হলে বাচ্চার দেহেও ছড়িয়ে পড়ে।

ওরাল সেক্সের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে গনোরিয়া

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ থিওডোরা উয়ি বলেন- জাপান, ফ্রান্স ও স্পেনে অন্তত তিনটি ঘটনা পাওয়া গেছে, যেখানে গনোরিয়া পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়। ‘গনোরিয়া খুবই দুষ্টু ভাইরাস। আপনি যতই নতুন এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করুন, তারা প্রতিরোধ তৈরি করে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বিশ্বে এখন ওরাল সেক্সের প্রতি ঝুকছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের কাছে এটা খুবই সাধারন বিষয় এবং তাদের দুই-তৃতীয়াংশই ওরাল সেক্সে অভ্যস্ত।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সালের দিকে যুক্তরাজ্যের ৬৯.৭ শতাংশ পুরুষ ও ৬৫.৬ শতাংশ নারী শারীরিক মিলনের সময় সঙ্গীদের সঙ্গে ওরাল সেক্স করতো।

এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সালে যুক্তরাজ্যে ওরাল সেক্স মানুষের বৃদ্ধি পেয়ে ৭৭.৯ শতাংশ পুরুষ ও ৭৬.৮ শতাংশ নারী শারীরিক মিলনের সময় সঙ্গীদের সঙ্গে ওরাল সেক্স করেন।

মহিলাদের মধ্যে গনোরিয়ার উপসর্গ

  • অস্বাভাবিক যোনি স্রাব
  • প্রস্রাব পরিনত হলে ব্যথা অনুভব করা
  • নিম্ন পেটে ব্যথা
  • যৌনতার পরে অস্বাভাবিক রক্তপাত

পুরুষদের মধ্যে গনোরিয়ার উপসর্গ

  • লিঙ্গ  সাদা, হলুদ বা সবুজ হতে পারে এবং অস্বাভাবিক স্রাব
  • প্রস্রাব করার সময় প্রচন্ড ব্যথা ও জ্বালাপোড়া অনুভব
  • ফুসফুস প্রদাহ
  • পেটে ব্যথা

সূত্র- বিবিসি