Tuesday, March 25, 2025
Latestদেশ

হোলিতে অশান্তি এড়াতে মসজিদ ঢেকে দিল যোগী সরকার 

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হোলি খেলার রাস্তায় অবস্থিত মসজিদগুলিকে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এবছর একটি বিরল মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছে, কারণ প্রায় ৬০ বছর পর হোলি ও রমজানের জুম্মা একদিনেই পড়েছে—আগামী ১০ মার্চ, শুক্রবার। এই উপলক্ষে সম্ভল জেলার ১০টি মসজিদে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুরক্ষা

উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন জানিয়েছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং দুই সম্প্রদায়ের মানুষের শান্তিপূর্ণ উৎসব পালনের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্ভলের পুলিশ সুপার শ্রীষচন্দ্র জানিয়েছেন, “মোট ১০টি মসজিদ চিহ্নিত করা হয়েছে। কোনও রকম উত্তেজনা বা বিশৃঙ্খলা এড়াতে মসজিদগুলিকে ঢেকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

হোলি খেলা ও নমাজের সময় নির্ধারণ


হোলি খেলা এবং জুম্মার নমাজ একই সময়ে না হয়, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন ও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বোঝাপড়া করে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। হোলির শোভাযাত্রা বেরনোর আগে বা পরে মসজিদে নমাজ পড়া হবে। মসজিদ চত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কড়া নিরাপত্তা

উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সতর্ক করে জানিয়েছে, উৎসবের সময় কোনও রকম উত্তেজনা বা বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্বে থাকা পুলিশ বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কোন কোন মসজিদ ঢেকে রাখা হচ্ছে?

যে ১০টি মসজিদে ত্রিপল দিয়ে ঢাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলি হলো—শাহী জামা মসজিদ, লাদানিয়াওয়ালি মসজিদ, থানিওয়ালি মসজিদ, একরাত মসজিদ, গুরুদ্বার রোড মসজিদ, গোল মসজিদ, খাজুরওয়ালি মসজিদ, আনারওয়ালি মসজিদ, গোল দোকানওয়ালি মসজিদ।

প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক

এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ একে সঠিক পদক্ষেপ বলে মনে করছেন, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এমন পদক্ষেপ আদৌ প্রয়োজন ছিল কি না।

যদিও সরকার ও প্রশাসন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে এতে সামাজিক ঐক্যের বার্তা কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলবে।