ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন বৃদ্ধা, সেই তিনিই অভুক্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন
ভুবনেশ্বর: নিজে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনিই করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫ হাজার টাকা দান করলেন। এছাড়া স্থানীয় প্রেস ক্লাবেও ২ হাজার টাকা দান করেছেন তিনি। এখানেই থেমে থাকেননি ৭৫ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা। গরিব ও লকডাউনের ফলে সমস্যায় পড়া লোকজনের মুখে খাবারও তুলে দিচ্ছেন তিনি।
বৃদ্ধার নাম সরোজিনী দাস। ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া জেলার রাজকনিকা ব্লকের একাতলা গ্রামে থাকেন তিনি। সরোজিনী দেবীর নিজের কোনও বাড়ি নেই। সারাদিন ভিক্ষা করে রাত কাটাতেন জাগুলিপদা গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরে। এখন ওই দপ্তর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত হয়েছে। ফলে তাঁর এখন কোনও স্থায়ী ঠিকানা নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সরোজিনী দেবীর পাশে দাঁড়ানোর কথা বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন বিডিও।
খিদের জ্বালা কি, সেটা বোঝেন তিনি। লকডাউনের জেরে এলাকার মানুষ অনাহারে আছেন দেখে আর কষ্ট পান তিনি। বিডিও অফিসে গিয়ে ডিএস শুভদর্শী যোশীর সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য ৫০০০ টাকা দান করেন। এই বৃদ্ধায় কাজে মুগ্ধ হয়েছেন বিডিও শুভদর্শী যোশীও।
বিডিও জানান, এই বৃদ্ধা এক দশক আগে তাঁর স্বামীকে হারান। তবে এবারই যে তিনি প্রথম দান করলেন এমনটা নয়, গত বছরের অক্টোবরে বৃদ্ধা তাঁর ভাতা ও জমানো টাকা থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ৫০ হাজার টাকা দান করেছিলেন। তাঁর কিছু জমি ছিল। ৫-৬ বছর আগে সেই জমি বিক্রি করে দেন তিনি। তাঁর কোনও সন্তান না থাকায় জমি বিক্রির টাকা মন্দিরে দান করেন তিনি।
