হরিয়ানায় অশান্তিতে জড়িত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা, গ্রেফতার ২৫ রোহিঙ্গা
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: হরিয়ানার নূহতে অশান্তির অভিযোগে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ২০টির বেশি মামলা করেছে এবং প্রায় ২৫ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের নথিপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তাদের সবাইকে জাতিসংঘ শরণার্থী পরিচয়পত্র দিয়েছে। নুহে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের। ২০১৭ সালে সহিংসতার পরে, তারা বাংলাদেশ হয়ে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গা নূহ শহরে বসবাস করছে। তাদের মধ্যে বড় সংখ্যকদের জাতিসংঘ কর্তৃক ইস্যুকৃত শরণার্থী কার্ড রয়েছে। চলতি বছরের ৩১শে জুলাই নূহ শহরে সাম্প্রতিক অশান্তিতে জড়িত থাকার কারণে তারা আবারও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এই অনুপ্রবেশকারীরা কেউ কেউ এলাকায় সহিংসতা ছড়াতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। পুলিশ তার প্রমাণও পেয়েছে।
হরিয়ানা প্রশাসন ইতিমধ্যেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী অধ্যুষিত ২৫০টি ঝুপড়ি ভেঙে দিয়েছে। কারণ তারা অবৈধভাবে বন বিভাগের জমিতে বসবাস করছিল। পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের দাবি, এই অনুপ্রবেশকারীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। নূহের সাম্প্রতিক সহিংসতায় তাদের জড়িত থাকার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সহিংস ঘটনার সাথে জড়িত বলে বিশ্বাস করা অন্যান্য ব্যক্তিদের জন্য পুলিশ সক্রিয়ভাবে অনুসন্ধান করছে।
বস্তি এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। এই স্থানে ২০০টির বেশি বস্তি গড়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। সরকারী সূত্রে খবর, এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে কিছু সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় জড়িত ছিল এবং তাদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপের কথা ভাবছে। এই শরণার্থীদের নথি এবং কাগজপত্র বর্তমানে তাদের পরিচয় এবং আইনি অবস্থা যাচাই করার জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
নুহের নতুন এসপি নরেন্দ্র বিজরানিয়া বলেছেন , “আমরা নূহের সহিংসতায় রোহিঙ্গাদের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছি। শরণার্থী হিসেবে বসবাসরত এসব রোহিঙ্গাদের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে কার কাছে জাতিসংঘের কার্ড আছে।”
উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের মিছিল চলাকালীন হরিয়ানার নুহ জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল মেওয়াতে মিছিলকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। এর থেকেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। — Live Hindustan