এনআরসি আসলে মুসলিমদের দেশছাড়া করার হাতিয়ার: মার্কিন প্যানেল
ওয়াশিংটন: জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি আসলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু করার এবং মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন করে তোলার একটি হাতিয়ার! এমনটাই অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত একটি ফেডারেল মার্কিন কমিশন। অসমে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে ১৯ লাখ নাগরিক বাদ পড়েছে। শুক্রবার ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের (USCIRF) অভিযোগ, অসমের বাঙালি মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে এবং মূলত মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করে তোলার উদ্দেশ্যেই গৃহীত কর্মসূচি হল এনআরসি।
শুক্রবার প্রকাশিত ইস্যু ব্রিফ ইন্ডিয়াতে USCIRF জানিয়েছে, এনআরসি করার মূল উদ্দেশ্য হল ভারতীয় মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন করে তোলা। ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থার নিম্নমুখী প্রবণতার এটি একটি বড় উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। USCIRF- এর অভিযোগ, ২০১৯ সালের আগস্টে এনআরসি তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরেই বিজেপি সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে যা মুসলিম বিরোধী পক্ষপাতিত্বকেই প্রতিফলিত করে।
Want to learn more about what is happening in Assam? USCIRF Just released its latest update on India. Check it out to learn about all of the Religious Freedom issues that one of the worlds largest democracies faces.https://t.co/8KmHVpTp3x
— USCIRF (@USCIRF) November 15, 2019
USCIRF জানিয়েছে, বিজেপি ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য একটি ধর্মীয় পরীক্ষা তৈরির লক্ষ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে যাতে হিন্দুরা এবং কিছু ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বেঁচে যাবে ঠিকই, তবে বাদ পড়বেন মুসলমানরা। বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতে এসে বসবাস করতে শুরু করে। স্বাধীনতার পরেও তা অব্যাহত রয়েছে।
এনআরসি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এনআরসি আপডেট করা একটি সংবিধিবদ্ধ, স্বচ্ছ, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক নির্দেশিত একটি আইনি প্রক্রিয়া। এটি কোনও কার্যনির্বাহী চালিত প্রক্রিয়া নয়। এনআরসি হল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ভিত্তিতে চালিত একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়া।
বিদেশমন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি একটি বৈষম্যহীন প্রক্রিয়া, যাতে পক্ষপাতদুষ্টতা এবং অন্যায়ের কোনও অবকাশ নেই। কারণ এনআরসিতে তথ্য জানানোর আবেদন ফর্মেই দেখা যায় যে আবেদনকারীদের ধর্ম জিজ্ঞেস করা হয়নি কোথাও।