এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ প্রাক্তন সেনাকর্মী
গুয়াহাটি: শনিবার প্রকাশিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ মানুষ। সেই তালিকায় আছেন প্রাক্তন সেনাকর্মী লেফটেন্যান্ট মহম্মদ সানাউল্লাহ। কয়েকমাস আগেই অবৈধ প্রবাসী হওয়ার অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়েছিল। সানাউল্লাহের মতো বাদ পড়েছে হাইলাকান্দির বাসিন্দা সেনার অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ কর্তা বিমল চৌধুরির নামও।
তবে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ায় অবাক নন সানাউল্লাহ। প্রাক্তন সেনাকর্মী মহম্মদ সানাউল্লাহকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, যেহেতু আমার মামলাটি এখনও হাইকোর্টে বকেয়া রয়েছে, সেই কারণে আমি আশা করিনি যে, আমার নামটি তালিকায় থাকবে। বিচারব্যবস্থার প্রতি আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে, আমি আত্মবিশ্বাসী, যে বিচার পাব।
Retired Army Officer Mohammad Sanaullah on his name missing from #NRCFinalList: I was not expecting my name to be in the list as my case is still pending in the High Court, I have full faith in the judiciary and I’m confident that I will get justice. #Assam pic.twitter.com/tdnxJoQbg3
— ANI (@ANI) August 31, 2019
অনুপ্রবেশকারী হঠাতে এই তৈরি করা হয় জাতীয় নাগরিকপঞ্জি। ১৯৫১ এর পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অসমে তৈরি করা হল জাতীয় নাগরিকপঞ্জি।
মে মাসে ফরেনার্স ট্রাইবুনালের রায়ে গ্রেফতার হন একসময়ে মনিপুর ও কাশ্মীরে লড়াই করা সানাউল্লাহ। ১২দিন তাঁকে আটকে রাখা হয়, পরে গুয়াহাটি হাইকোর্টের রায়ে ছাড়া পান তিনি। মামলাটি নিয়ে আদালতে এখনও লড়াই করছেন তিনি।
সানাউল্লাহ বলেছেন, ৩০ বছরের সৈনিক হিসাবে, এটা খুবই দুঃখের। দেশের জন্য কাজ করার পর আমি এটা পেলাম। তবে আমি মনে করি আমার বিষয়টি চোখ খুলে দেবে, বিচার মিলবে। তাঁর কথায়, আমি কখনই ভাবিনি যে, আমায় একজন বিদেশী ঘোষণা করা হবে, কারণ আমি একজন প্রকৃত ভারতীয়।
২০১৭ এ অবসর নেন মহম্মদ সানাউল্লাহ, পরে অসম বর্ডার পুলিশে যোগ দেন তিনি। সেখানে অবৈধ প্রবাসীদের আটক করতেন তিনি। একই দফতর, তাঁকেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করেছে।