Monday, March 24, 2025
রাজ্য​

রাজ্যে এখনই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নয়, বিজেপির দাবি অন্য কিছু

নয়াদিল্লি: রবিবার সকালেই দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক হিংসার আবহে তাঁদের এই সাক্ষাৎ। বিজেপির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন‌ জারি করার দাবি নয়, তৃণমূল সরকার যেভাবে তাদের রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে, বিজয় মিছিল করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে তাঁদের দাবি, সেটা বন্ধ হোক।

সোমবার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, শাসক তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে যেসব আসনে জিতেছে, সেখানে বিজয় মিছিল বের করেছে। কিন্তু তাঁদের বিজয় মিছিল বের করা থেকে আটকাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যার ফলে পাঁচ বা তার বেশি লোক জমায়েত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যাচ্ছে। তাহলে এহেন পরিস্থিতিতে বিজেপি কি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি জানাবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে কৈলাসবাবু বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই। কিন্তু রাজ্য সরকার তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে আমাদের নেতা ও কর্মীদের টার্গেট করছে। আমরা এই দমন প্রক্রিয়াকে আটকাতে বদ্ধপরিকর। এটা আমাদের অধিকার।

দলীয় কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে ১২ জুন রাজ্যে প্রতিবাদ মিছিল করবে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইঙ্গিত করে কৈলাস বলেন, পিসি-ভাইপো জুটি তৃণমূল কর্মীদের পিছনে রয়েছে। রাজ্যপাল বলেন, তিনি মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেছেন। এখনও পর্যন্ত ভোট-পরবর্তী হিংসায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যপাল এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন। সাক্ষাতের পর তিনি জানান, আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছি। আমি বিস্তারিত বলব না। উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পেয়েছে ১৮টি আসন। অন্যদিকে, তৃণমূল পেয়েছে ২২টি আসন। ২০১৪ সালে তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪টি আসন। এবার এক ধাক্কায় তাঁদের ১২টি আসন কমে গিয়েছে।