পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবেই, খোদ কলকাতায় এসে জোর দিয়ে বললেন স্মৃতি ইরানি
কলকাতা: অসমে প্রকাশিত এনআরসি তালিকা নিয়ে যখন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি উত্তাল, তখন এ রাজ্যেও এনআরসি হবে বলে ঘোষণা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। খোদ কলকাতায় এসেই স্মৃতি ইরানি জোর দিয়ে বললেন, পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি করা হবে।
অসমে এনআরসি তালিকা থেকে ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। এনআরসির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং বাম ফ্রন্টস। তাঁদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসির নামে কোনও বাঙালিকে তাড়ানো যাবে না। এই রাজ্যে চালু করা যাবে না এনআরসি।
এনআরসির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় একটি প্রস্তাবও পাস হয়েছে। যদিও ওই প্রস্তাব মানতে নারাজ বিজেপি। প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় বিজেপি এর বিরোধিতা করে অধিবেশন বয়কট করেছিল। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি কার্যকর করার প্রশ্নে অটল।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর গত ১০০ দিনে মোদী সরকারের সাফল্যের নানা দিক তুলে ধরেন স্মৃতি ইরানি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রুখতে পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর করা হবে এনআরসি। তবে শুধু এই রাজ্য নয়, পুরো ভারতে কার্যকর করা হবে এনআরসি। কোনও অনুপ্রবেশকারীকে ঠাঁই দেওয়া হবে না পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের কোনও রাজ্যে। এ ব্যাপারে বিজেপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আর বাংলায় এনআরসির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এনআরসি করে বাংলা থেকে বিতাড়ন করা হবে অনুপ্রবেশকারীদের।
কাশ্মীরের ৩৭০ বাতিলের ‘সাফল্যের’ কথা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করে স্মৃতি ইরানি বলেন, মমতার সব কিছুতেই আপত্তি। স্মৃতি ইরানি বলেন, একসময় এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশের রুখতে সোচ্চার ছিলেন। অভিযোগও তুলেছিলেন, বামফ্রন্ট সরকার ভোট টানতে অনুপ্রবেশকারীদের এই রাজ্যে ঠাঁই দিচ্ছে। কিন্তু এখন মমতাই অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে অবস্থা নিয়েছেন। এটা মমতার দ্বিচারিতা বলেও অভিযোগ করেন স্মৃতি ইরানি।