বাবরির পরিবর্তে কিছু নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না: জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ
লখনউ: ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রাম মন্দিরের জন্য দিয়েছে। অন্যদিকে, মসজিদের জন্য পাঁচ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেই পাঁচ একর জমি গ্রহণ করার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়ে দিল মামলায় মুসলিম পক্ষের অন্যতম বাদী জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দ (জেইউএইচ)।
বৃহস্পতিবার জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দের ওয়ার্কিং কমিটি জানিয়েছে, মসজিদের বিকল্প হিসেবে কোনও টাকা বা জমি হতে পারে না। মুসলিম পক্ষের অন্যতম বাদী ইকবাল আনসারীসহ স্থানীয় মুসলিম নেতারা জানিয়েছেন জমি বরাদ্দ করতে হলে অধিগ্রহণ করা ৬৭ একর জমি থেকেই করতে হবে।
2 days before the crucial meeting of the #AIMPLB takes place to discuss the #SupremeCourt verdict on #Ayodhya, the Jamiat Ulama-e-Hind (#JuH), a key Muslim litigant in the Ayodhya title suit, has decided not to accept the five-acre alternative land for building a mosque. pic.twitter.com/Lfh4tw3GWN
— IANS Tweets (@ians_india) November 15, 2019
উত্তরপ্রদেশে সংগঠনের সভাপতি আরশাদ মদানি বলেন, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।একটি হল বিকল্প পাঁচ একর জমি নিয়ে এবং অপরটি হল শীর্ষ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনা করে দেখা নিয়ে। সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, মসজিদের পরিবর্তে বিকল্প কিছু নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। না টাকা, না জমি। কোনও মুসলিম সংগঠনেরই এই অদলবদল স্বীকার করা উচিৎ নয়।
জেইউএইচ সদস্য মৌলানা রশিদি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনা করতে আর্জি জানানো যায় কি না, তার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গড়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ। ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল সংগঠন এটি।