শীঘ্রই নির্ভয়া গণধর্ষণে ৪ দোষীর ফাঁসি হতে চলেছে
নয়াদিল্লি: হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও নৃশংসভাবে পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে উত্তাল সারা দেশ। যদিও আদালত এ বিষয়ে এখনও কোনও শুনানি হয়নি। তবে দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবি তুলে সোচ্চার হয়েছে দেশবাসী।
এদিকে, ২০১২ সালে দিল্লির চলন্ত বাসে গণধর্ষণে ৪ দোষীর ফাঁসি হতে চলেছে। তবে সমস্যা হল, তিহার জেলে বর্তমানে কোনও জহ্লাদ নেই, যিনি এই ৪ দোষীকে ফাঁসি দেবেন। ফলে কিভাবে ফাঁসি দেওয়া হবে, তা নিয়ে চিন্তিত জেলের আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, তিহার জেলে শেষ ফাঁসি হয়েছিল পার্লামেন্ট হামলার মূল অভিযুক্ত আফজল গুরুর। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হয়েছিল আফজল গুরুর। ৩ নম্বর সেলে ফাঁসি হয়েছিল আফজলের। তারপর এখনও পর্যন্ত জহ্লাদ নিযুক্ত করতে পারেনি তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। তার আগে ১৯৮৯ সালে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকারীদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। তখন জহ্লাদ ছিলেন কালু ও ফকিরা।
কারাগারের একজন প্রবীণ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের সমাজে প্রায়শই মৃত্যুদণ্ডের নিন্দা করা হয়। শুধুমাত্র বিরল থেকে বিরল অপরাধের জন্য ফাঁসি দেওয়া হয়। সে জন্য জল্লাদকে পুরো সময়ের জন্য নিয়োগ দেওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে চলন্ত বাসের ভিতরে ২৩ বছর বয়সি প্যারামেডিক্যাল ছাত্রী নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করে ছয় দুষ্কৃতী। হামলার ১৩ দিন পর, তাঁকে জরুরী চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, কিন্তু দুই দিন পর তিনি মারা যান।
বিচারে অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জনের ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। এক দুষ্কৃতী নাবালক হওয়ার কারণে জুভেনাইল হোমে বন্দি থাকার পরে মুক্তি পায়। বাকি পাঁচ জনের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত রাম সিং কারাগারেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। বাকি ৪ জনই এখন তিহার জেলে রয়েছে।