Monday, November 17, 2025
দেশ

বড় সাফল্য, নীরব মোদীর সংস্থার সম্পত্তি বিক্রি করে ৩২ লাখ ৫০ হাজার ডলার আদায় করল পিএনবি

নয়াদিল্লি: ঋণখেলাপি মামলায় অভিযুক্ত পলাতক হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর কাছ থেকে টাকা উদ্ধার শুরু করল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি)। পিএনবি জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে তাঁরা ৩২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা) আদায় করেছে। উল্লেখ্য, নীরব মোদীর স্ত্রী অ্যামি মোদীর বিরুদ্ধেও আর্থিক তছরুপ মামলায় ইন্টারপোল রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছে।

কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১ ট্রাস্টি ঋণ গ্রহীতাদের সম্পত্তির হিসেব করে জানিয়েছে, পিএনবি সহ ঋণ দেওয়া সংস্থাগুলিকে ১ কোটি ১০ লাখ ৪ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা) ফেরত দেওয়া সম্ভব। এরপর নীরব মোদী ও মেহুল চোকসির সংস্থার সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখে ভবিষ্যতে আরও অর্থ ফেরত পাওয়ার আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

নীরব মোদীর কাছ থেকে এই ৩২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার আদায় করা কেন্দ্রের কর্পোরেট বিষয়ক দপ্তরের কাছে একটি অভূতপূর্ব সাফল্য। বিদেশের মাটিতে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক জালিয়াতির বিরুদ্ধে এই মামলাটি লড়েছিল। নীরব মোদী এবং মেহুল চোকসি নিয়ন্ত্রিত সংস্থার বিরুদ্ধে মন্ত্রক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক লিমিটেড ২০১৮ সালে কেন্দ্রের কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রককে জানিয়েছিল, নীরব মোদীর তিনটি সংস্থা – মেসার্স ফায়ারস্টার ডায়মন্ড ইনকর্পোরেট, মেসার্স এ জ্যাফি ইনকর্পোরেট এবং মেসার্স ফ্যান্টাসি ইনকর্পোরেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের দক্ষিণ জেলায় ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত সুরক্ষা কবচ চেয়েছে। পিএনবি কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রককে নিউ ইয়র্কে এ সংক্রান্ত আইনি লড়াই লড়তে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের দক্ষিণ জেলার ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত আদালত ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই পিএনবির দাবীকে স্বীকৃতি দেয়। তারা পিএনবিকে নীরব মোদী, শ্রী মিহির বনসালি এবং শ্রীমতী রাখি বনসালিকে আদালতে সওয়াল জবাবের জন্য সমন পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিল। পরবর্তীকালে ২৪ আগস্ট আদালতের পরীক্ষক তাঁর যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন, ওই প্রতিবেদনে এ সংক্রান্ত জালিয়াতির দাবী সঠিক বলে জানানো হয়েছে। এই জালিয়াতির সবথেকে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল নীরব মোদী নিয়ন্ত্রিত একটি সংস্থা আপাতদৃষ্টিতে স্বাধীনভাবে কাজ করছিল এবং ভূয়ো হীরের ব্যবসা নিজেদের মধ্যে চালাচ্ছিল।