পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্যে প্রস্তুত সেনা, শুধু সরকারের নির্দেশের অপেক্ষা: সেনাপ্রধান
আমেঠি: বৃহস্পতিবার সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেছেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে সরকারের নির্দেশের অপেক্ষা! সব রকমভাবে প্রস্তুত সেনা। তাঁর কথায়, পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে সেনা।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় জিতেন্দ্র সিংয়ের মন্তব্যের বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। এর উত্তরে সেনাপ্রধান বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অভিযানের জন্য ভারতীয় সেনা সবসময়ই প্রস্তুত। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এ ব্যাপারে সরকার নির্দেশ দিলে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলি সেইমতো কাজ করবে। সেনাপ্রধান বলেন, কাশ্মীরে এতদিন সন্ত্রাস দেখেছে মানুষ। কিন্তু এখন শান্তির বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে সরকার।
#WATCH Army Chief, General Bipin Rawat on Union Minister Jitendra Singh’s statement, “Next agenda is retrieving PoK & making it a part of India”: Govt takes action in such matters. Institutions of the country will work as per the orders of the govt. Army is always ready. pic.twitter.com/RUS0eHhBXB
— ANI (@ANI) September 12, 2019
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার জিতেন্দ্র সিং বলেন, দ্বিতীয়বার মোদী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি। এবার আমরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ফের ভারতের মধ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আনতে চাইছি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা টা শুধুমাত্র আমি বা আমাদের সরকারের লক্ষ্য নয়। গোটা ভারতবর্ষের মানুষ এটাই চান। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিংহ রাওয়ের সময়ে এ বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে সংসদে একটি প্রস্তাবও পাস হয়। সেটাই বাস্তবায়িত করতে চাই আমরা।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি কাশ্মীরকে ভারতের রাজ্য বলে উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেনারেল রাওয়াত বলেন, এটি শোনার পরে আপনারা যেমন আছেন আমরা তত খুশি। এটাই সত্য। এটাই বাস্তবতা।
জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে সেনাপ্রধান বলেন, জম্মু কাশ্মীরের মানুষদের বোঝা দরকার সেখানে যা ঘটছে, তা শুধু তাদের জন্য। ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের উপত্যকায় শান্তি আনতে নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিৎ। তারা ৩০ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদের মুখোমুখি হয়েছে। এখন সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়া উচিত। তাহলেই তাঁরা বুঝতে পারবেন, শান্তির মাধ্যমে তাঁরা যা পেয়েছেন, তা এতগুলি বছর ধরে পাননি।