সবচেয়ে বড় ধর্ষক ছিলেন নেহেরুই: সাধ্বী প্রাচী
নয়াদিল্লি: হায়দরাবাদকাণ্ডের মধ্যেই উন্নাওয়ের নির্যাতিতা তরুণীর মৃত্যুতে গোটা দেশ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার আওয়াজ তুলেছে। হায়দরাবাদকাণ্ডে অভিযুক্ত ৪ অভিযুক্তকে পুলিশি এনকাউন্টার করা হলেও দেশজুড়ে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে দেশের ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের জন্য দায়ী করলেন বিশ্বহিন্দু পরিষদ নেত্রী সাধ্বী প্রাচী।
রবিবার সাধ্বী প্রাচী বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি এবং ধর্ষণ নেহেরুরই দেওয়া উপহার। রাহুল গান্ধী আর কি বলবেন। আমাদের দেশটা হল রাম আর কৃষ্ণের দেশ। আর এই দেশের সবচেয়ে বড় ধর্ষক ছিলেন নেহেরু। ও আমাদের রাম এবং কৃষ্ণের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
मेरठ – साध्वी प्राची का नेहरू पर बयान.-राहुल गांधी जो बोल रहे है भारत रेप का कैपिटल बन गया है सबसे बड़ा रेपिस्ट तो नेहरू था.पूर्व प्रधानमंत्री पर ऐसे बयानबाजी के लिए इनपर कार्यवाही होनी चाहिए. @PMOIndia @AmitShah @Uppolice @CMOfficeUP #nehru #sadhvipragya#sadhvipragyaonnehru pic.twitter.com/MOIlzGA6W1
— Brijesh K N Tiwari (@brijeshkntiwari) December 8, 2019
শনিবার রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, বিশ্বের কাছে ভারতের পরিচয় এখন ধর্ষণের রাজধানী হিসেবে। বিদেশিরা প্রশ্ন তুলছেন, কেন ভারত নিজের মেয়ে ও বোনেদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণের অভিযুক্ত। তবে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এখনও একটা শব্দও বললেন না। আসলে আমরা এমন একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি, যিনি নিজেই ঘৃণা ও হিংসার আদর্শে বিশ্বাসী।
পাশাপাশি, দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা করে সাধ্বী প্রাচী বলেন, এর সমাধান কেবল সেটাই, যেটা হায়দরাবাদের পুলিশ করেছে। পুলিশি এনকাউন্টার নিয়ে তিনি বলেন, যারা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তারা এর আগে কোথায় ছিলেন।
উন্নাওয়ে নির্যাতিতা তরুণীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা প্রসঙ্গে সাধ্বী প্রাচী বলেন, দেশের আইনি ব্যবস্থা খুবই অসহায়। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের উচিত হায়দরাবাদের পুলিশদের অনুসরণ করে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উদ্দেশে উন্নাওয়ের ধর্ষকদের দ্রুত এনকাউন্টারে আর্জি জানান।