চিনে মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক শয্যাসঙ্গী করা হচ্ছে
লন্ডন: চিনের মুসলিম ধর্মাবলম্বী উইঘুর নারীদের জোরপূর্বক শয্যাসঙ্গী করছে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা ও কমিউনিস্ট দলের নেতারা। সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইঘুর নারীদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের ক্যাম্পে আটকে রেখেছে চিন সরকার। এই সুযোগে তাঁদের পরিবারের উপর নজরদারির নামে নারীদের শয্যাসঙ্গী করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, চিনে বিভিন্ন ক্যাম্পে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুরকে আটকে রাখা হয়েছে। পুরুষরা ক্যাম্পে বন্দি রয়েছেন। এজন্য তাঁদের স্ত্রীদের বাসায় তদারকির জন্য যায় সরকারি কর্তারা। চিনের কমিউনিস্ট দলের নেতারা নজরদারির নামে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের নারীদের শয্যাসঙ্গী করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
নজরদারির নামে চিনে উইঘুর সম্প্রদায়কে পদ্ধতিগতভাবে দমন নিপীড়ন করা হচ্ছে। কখনও কখনও সরকারি কর্মকর্তাদের বাসায়ও উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের নারীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। উভয় সময়ই তাঁদের সঙ্গে মুসলিম উইঘুর নারীদের একই বিছানায় থাকতে বাধ্য করা হয়।
এছাড়া ক্যাম্পের বাইরে থাকা উইঘুরদেরও নজরদারির নামে হয়রানি করা হচ্ছে। তাঁরা পরিচয়পত্র ছাড়া চলাফেরা করতে পারছেন না, তল্লাশি করা হচ্ছে যত্রতত্র এবং সবাইকে ফেস রিকগনিশন ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে থেকে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন নামে এক ধরণের প্রোগ্রাম চালু করেছে চিন সরকার। এই প্রোগ্রাম অনুযায়ী, উইঘুর পরিবারে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাতে হয়। আমন্ত্রণ অনুযায়ী, কর্মকর্তারা উইঘুরদের বাড়িতে গিয়ে তাদের সামগ্রিক জীবনাচরণ পর্যবেক্ষণ এবং রাজনৈতিক মতাদর্শসহ নানা তথ্য সংগ্রহ করে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ উইঘুর মুসলিমদের উপর সরকারের এমন আচরণকে ভয়াবহ আগ্রাসন বলে উল্লেখ করেছে। সপ্তাহখানেক আগে রাষ্ট্রপুঞ্জে যুক্তরাজ্যসহ ২৩টি দেশ উইঘুরদের বিরুদ্ধে চিন সরকারের দমন-পীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।