Saturday, June 21, 2025
Latestরাজ্য​

জিয়াগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই, দাবি রাজ্য পুলিশের

কলকাতা: মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে বাড়ির ভিতরে ঢুকে একই পরিবারের তিনজনের হত্যার পর নদিয়া থেকে এক পুরোহিতের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার পর গোটা রাজ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর ক্রমশই বাড়ছে। ঘরে-বাইরে ক্রমশ চাপ বাড়তে থাকায় এবার জিয়াগঞ্জের হত্যার ঘটনা নিয়ে টুইট করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

বিজয় দশমীর সকালে জিয়াগঞ্জে আট বছরের শিশু সহ প্রাথমিক শিক্ষক ও তাঁর গর্ভবতী স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আতকে ওঠে বাংলা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দাবি, বন্ধুপ্রকাশ পাল একজন আরএসএস কর্মী ছিলেন। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নবমীর রাত থেকে নিখোঁজ থাকা এক পুরোহিতের মৃতদেহ মেলে বৃহস্পতিবার। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে নতুন করে কাঠগড়ায় তোলে।

বিজেপির অভিযোগ, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আবহ তৈরি হচ্ছে। মৃত পুরোহিতের নাম সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪২ বছরের ওই পুরোহিতকে গত সোমবার থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার নদীর তীরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই পুরোহিতকে বিজেপি কর্মী বলে দাবি করেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক হিংসার কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এই বক্তব্যকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও সমর্থন জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় ১৮ টি আসনে জয়লাভ করে। বিজেপির অভিযোগ, তারপর থেকেই  রাজ্যে একের পর এক রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা সামনে আসছে। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা চরমে উঠেছে বলে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ।