গ্রেফতার করা হল জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহরাকে
কলকাতা: মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রি উৎপল বেহেরা। সাগরদিঘির সাহাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিমা সংক্রান্ত লেনদেনের জেরে এই খুন বলে জানিয়েছে অভিযুক্ত উৎপল বেহেরা।
মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে আর্থিক লেনদেন। নিহত বন্ধুপ্রকাশের কাছে ২৪ হাজার ১৬৭ টাকা পেত উৎপল বেহরা। সেই টাকা ফেরত চাওয়াতে শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ নাকি খুনির সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছিলেন। সোমবার রাতে গ্রেফতারের পর জেরার মুখে তিনজনকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত উৎপল বেহেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রিমিয়ামের ওই টাকা জমা করেনি বন্ধুপ্রকাশ। সেই টাকা ফেরত চাওয়াতে নিহত শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ নাকি গালিগালাজ করেন উৎপলকে। তার পরেই ওই খুনের পরিকল্পনা করে সে। দশমীর দিন বন্ধুপ্রকাশের বাড়ি যায় উৎপল। দুপুর ১২ টা ৬ মিনিট থেকে ১২ টা ১১ মিনিটের মধ্যে তিনটে খুন করে উৎপল। প্রথমে আঘাত করেন বন্ধুপ্রকাশকে পরে তাঁর স্ত্রী বিউটি ও ছেলে অঙ্গনকে হত্যা করেছে বলে জেরায় জানিয়েছে উৎপল। খুনের পর পোশাক বদল করে পালিয়ে যায় সে। তবে রক্তমাখা বিমার নথিতে আততায়ীর হদিশ পায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বিজয়া দশমীর দিন বেলা ১১টা নাগাদ জিয়াগঞ্জ শহরের লেবুবাগানে বাড়ির ভেতর থেকে ঢুকে খুন করা হয়েছিল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল ও তাঁদের ৬ বছরের ছেলে বন্ধু অঙ্গন পালকে। পুলিশ জািয়েছে, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এই খুনের ঘটনা, এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।