মেয়ে বিকলাঙ্গ, তাই তাকে ভাগীরথীর জলে ফেলে দিল মা
কাটোয়া: একে দৃষ্টিহীন, তার উপরে শারীরিক প্রতিবন্ধী। এমন কন্যাসন্তান হওয়ায় তাকে ভাগীরথীর জলে ফেলে দিল মা। কন্যা সন্তানকে জলে ফেলতে সাহায্য করল দাদু, দিদিমা ও বাবা। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাটি দেখতে পায়। অবশেষে মুমূর্ষু কন্যা সন্তানকে জল থেকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত কন্যাসন্তানের মা, বাবা, দাদু ও দিদিমাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত পাঁচজনকে আটক করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মোস্তাফাপুরের বাসিন্দা পারমিতা হালদার এবং শান্ত হালদারের একটি কন্যাসন্তান হয় ৬ দিন আগে। শিশুকন্যাটি দৃষ্টিহীন এবং প্রতিবন্ধী হয়েই জন্মায়। এর পরেই শিশুটিকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে ওই পরিবার। এ দিন সকালে বিকলাঙ্গ কন্যা সন্তানকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলে সকলে মিলে ভাগরথীর পাড়ে আসেন তাঁরা ৷ সন্তানকে ফেলে দেওয়ার পরামর্শ করেন সকলে মিলে ৷ এরপরেই নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয় ওই শিশুকে।
পুলিশী জেরায় ওই শিশুকন্যার মা পারমিতা হালদার, দিদিমা সরস্বতী হালদার, দাদু বিশ্বনাথ হালদার ও বাবা শান্ত হালদার ভাগীরথীর ঘাটে এসে কন্যাসন্তানকে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। শিশুটির মা বলেন, ওই মেয়ে নিয়ে আমরা কী করব তা ভেবে না পেয়েই নদীতে ফেলে দিয়েছি।