চিনে মসজিদ ভেঙে সুলভ শৌচালয়, প্রতিবাদ জানালো না পাকিস্তান-সহ কোনও ইসলামিক দেশই
বেইজিং: চিনের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পুরনো। নতুন অভিযোগ হল মসজিদের জায়গায় সুলভ শৌচালয় তৈরি করেছে চিনা প্রশাসন। মনে করা হচ্ছে, ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানতেই এহেন ঘৃণ্য কাজ করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, উইঘুর জাতিগোষ্ঠী নিশ্চিহ্নের পরিকল্পনা করছে চিন। ২০১৬ সালে মসজিদ সংস্কারের নামে নমাজ পড়ার স্থানগুলো নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া শুরু করে। এবার উত্তর চিনের জিংজিয়াং প্রদেশে একটি ভাঙা মসজিদের স্থানে সুলভ শৌচালয় তৈরি করল চিন।
গত কয়েক বছরে চিনে অন্তত পাঁচ হাজারের বেশি মসজিদ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আতুশ শহরের একজন বলেন, ২০১৮ সালে তোকুল মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। পরে এখানে ওয়াশরুম, গেস্টরুম এবং শৌচারগার তৈরি করা হয়। গণশৌচাগারটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তবে এখনও উদ্বোধন করা হয়নি।
এদিকে, জিনপিং সরকারের মসজিদ ভেঙে সাধারণ মানুষের জন্য সুলভ শৌচালয় বানাল বিষয়টি প্রকাশ্য আসার পরও এখনও পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়নি পাকিস্তান-সহ কোনও ইসলামিক দেশই।
চিনা প্রশাসনের কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আশপাশের সব মসজিদই ভেঙে ফেলা হবে। তবে শুধু মসজিদ ভাঙাই নয়, উইঘুর মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক বন্ধ্যা করারও অগিযোগ উঠেছে চিনা সরকারের বিরুদ্ধে।


