বাংলায় কোনওমতেই এনআরসি হতে দেব না: মমতা
কোচবিহার: সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ গত সপ্তাহে এক জনসভায় বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গেও অসমের মতো এনআরসি করা হবে। এরপর লোকসভা ভোটে রাজ্যে প্রথম দফার প্রচারে এসে শিলিগুড়ির কাওয়াখালি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হুঁশিয়ারি, ইয়ে মোদী হ্যায়। একজনও অনুপ্রবেশকারীকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
তবে হুঁশিয়ারির পাশাপাশি মোদীর গলায় ছিল সতর্কতার সুরও। এবার দার্জিলিংয়ে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন রাজু বিস্ত, যিনি নিজেকে পাহাড়ের ভূমিপুত্র বলে দাবি করছেন। তাছাড়া, দার্জিলিং লোকসভা আসনটিতে সমতলেই প্রায় ২৫ শতাংশ গোর্খা ভোট রয়েছে। আর পাহাড়ের ভোটারদের বেশির ভাগটাই গোর্খারা। নাগরিক পঞ্জীকরণ বা এনআরসি চালু হলে পাহাড়ের বাসিন্দা গোর্খাদের কোনও সমস্যা হবে না বলেও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে এই ইস্যুতে পাল্টা আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাঁর ঘোষণা, এনআরসি চালু করার অর্থ হল, মানুষের ভবিষ্যত অনিশ্চিত করে দেওয়া আর বিভেদ বাড়ানো। বিজেপির সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে হয়তো আম্বেদকারের করা সংবিধান সম্পূর্ণ বদলে দেবে ওরা। দেশে কোনও সংবিধানই রাখবে না। তাই কোনওমতেই বাংলায় এনআরসি হতে দেব না।
কোচবিহারের মাথাভাঙায় লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারীর হয়ে প্রচার করতে গিয়ে মমতা বলেন, এই চৌকিদার মিথ্যাবাদী। পাঁচবছর আগে বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে বিদেশ থেকে সব কালো টাকা নিয়ে এসে প্রতিটি দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ করে টাকা দেওয়া হবে। ভোট নিয়েছে মিথ্যা বলে। ভোটের পর চাওয়ালা নতুন করে চৌকিদার সেজেছে।