যুদ্ধক্ষেত্রে আহত বা শহিদ সেনাকর্মীদের ক্ষতিপূরণ চার গুণ বাড়াল মোদী সরকার
নয়াদিল্লি: প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রণাঙ্গনে হতাহতের সমস্ত বিভাগের জন্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ২ লাখ থেকে আট লাখ টাকা বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছেন। এর ফলে রণাঙ্গনে হতাহত সেনাকর্মীর নিকটাত্মীয় ৮ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান পাবেন। আর্মি ব্যাটেল ক্যাসুয়ালটিজ ওয়েলফেয়ার ফান্ড (ABCWF) আওতায় এই পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে।
এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র দফতর বলেছে, এতদিন রণাঙ্গনে কোনও সেনাকর্মী শহিদ হলে বা ৬০ শতাংশে বেশি কর্মক্ষমতা হারালে তাঁকে বা নিকটাত্মীয়কে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হত। দীর্ঘদিন ধরে এই আর্থিক অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন সেনাকর্মীরা। অবশেষে সেই দাবি মেনে নিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
ABCWF জুলাই ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি এপ্রিল ২০১৭ থেকে কার্যকর করা হয়। প্রাক্তন-সেনা কল্যাণ অধিদফতরের অধীনে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল (রণাঙ্গনে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল)।
এই তহবিল যুদ্ধের হতাহতের নিকটাত্মীয় এবং তাঁদের শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ABCWF-এর আওতায় সহায়তার পাশাপাশি বর্তমানে সেনাকর্মীরা ২৫ থেকে ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন। এছাড়া গোষ্ঠী বিমার অধীনে আরও ৪০ থেকে ৭৫ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন তাঁরা।
গত মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে রাজনাথ সিং রণাঙ্গনে নিহত বা আহত হওয়া আধাসামরিক কর্মীদের পরিবারকে সহায়তার জন্য ‘ভারত কে বীর তহবিল’ চালু করেছিলেন। প্রসঙ্গত, ‘ভারত কে বীর’ এমন একটি তহবিল যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র আধা সামরিক বাহিনীর নিহত কর্মীদের পরিবারবর্গকে সাহায্য করতে পারেন। ‘ভারত কে বীর’ তহবিলে যে কেউই দান করতে পারেন। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র আধাসামরিক বাহিনীর শহিদদের জন্যই এই তহবলি।