পাকিস্তানে হিন্দু নাবালিকাকে ধর্ষণের পর ধর্মান্তকরণ, মানবাধিকার কর্মীর ভিডিও ঘিড়ে তোলপাড়
ইসলামাবাদ: গোটা বিশ্ব এখন করোনা আতঙ্কে ভুগছে। তবে এই পরিস্থিতেও পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে। হিন্দু মেয়েদের জোর করে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্মান্তকরণের মতো ঘটনা ঘটে চলছেই। সম্প্রতি তেমনই এক ঘটনার প্রকাশ্যে এনেছেন পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী রাহাত অস্টিন।
টুইটে রাহাত অস্টিন লিখেছেন, কবিতা কুমারী (Kavita Kumari)। ১৩ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়ে। ধর্ষণের পর ওকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। আপনারা আমাকে একটা কথা বলুন! আজ যদি আপনার মেয়ে বা বোন যদি ওর বয়সী হত! আর তাকেও এভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর ধর্মান্তকরণ করা হত! আপনারা কি এর পরও চুপ করে থাকবেন? নাকি ন্যায়বিচারের জন্য লড়বেন?
রাহাত অস্টিনের শেয়ার এই ভিডিও ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যতই বলুন, তার দেশে হিন্দুরা ভালো রয়েছেন! বাস্তব কিন্তু একেবারেই তাঁর কথার সঙ্গে মিলছে না। আর এই ভিডিও তারই জলজ্যান্ত প্রমাণ। এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়া অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
Kavita Kumari, a 13 Years old, Hindu girl abducted, raped, converted. Tell me if you are a human. if you have a sister or daughter of this poor girl’s age & someone forcefully take her like this? If you were helpless like her family is. Will you still be silent or justify this? https://t.co/RiLqsgmAtA pic.twitter.com/2I3PNqLblY
— Rahat Austin (@johnaustin47) May 12, 2020
রাহাত অস্টিনের অভিযোগ, সারা বিশ্ব করোনার বিরুদ্ধে লড়ায়ে ব্যস্ত থাকলেও পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা আরও বেড়েছে। জোর করে হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তকরণ করে বিয়ে করা হচ্ছে। সিন্ধুপ্রদেশের ঘোটকী এলাকায় কবিতা কুমারী নামে ওই হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণের পর জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করে মিঞাঁ মিঠু নামে এক ধর্মীয় নেতা।
টুইটারে শেয়ার করা ১৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কবিতা কুমারী নামে ওই নাবালিকা একটি চেয়ার বসে রয়েছে। তাঁর সামনে চেয়ারে বসে তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করাচ্ছে মিঞাঁ মিঠু। জানা গিয়েছে, হিন্দু যুবতী, কিশোরী ও নাবালিকাদের অপহরণের পর জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করে মিঞাঁ মিঠু। তারপর তাঁদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করার জন্য জঙ্গি সংগঠনের হাতে তুলে দেয়।