Thursday, December 12, 2024
দেশ

অবশেষে গুলি করে মারা হল ১৪ জনের হত্যাকারী সেই বাঘিনীকে

নাগপুর: একজন দুজন নয়, একে একে ১৪ জনকে হত্যা করেছিল ওই বাঘিনী। নানা কৌশলে তাকে ধরার চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। অবশেষে শুক্রবার রাতে সেই বাঘিনীটিকে মেরে ফেলা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের পন্ধরকাওড়া জঙ্গলের বাঘিনী অবনীকে ইয়াভতমলে গুলি করে মারল মহারাষ্ট্রের বনদপ্তর। ৫ বছর বয়সী ওই বাঘিনী T1 নামেও পরিচিত ছিল।

গত দু মাস ধরে T1-কে খুঁজছিল বন দফতরের শিকারিরা। পূর্ব মহারাষ্ট্রের পন্ধরকাওড়া জঙ্গলে নাকি ওই বাঘিনী ১৪ জন মানুষকে খেয়েছিল। মহারাষ্ট্র বন দফতর ওই বাঘিনীকে শেষ করতে শুট অ্যাট সাইট ইস্যু করেছিল। যদিও ভারতে বাঘের সংখ্যা ও বাঘকে সংরক্ষণের আইন রয়েছে। তবু নরখাদক বাঘকে এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেওয়া যথেষ্টই ঝুঁকির। এক পুলিশ কর্তা জানান, অসগর আলি নামের এক শার্প শ্যুটারকে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করা হয়।

সিনিয়র প্রাণী কর্মকর্তা সুনিল লিমায়া বাঘটি হত্যার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে বাঘটিকে শান্ত করার লক্ষ্যে গুলি করলে বাঘটি কর্মকর্তাদের আক্রমন করতে এগিয়ে আসে। তখনই আত্মরক্ষার্তে তারা গুলি চালালে বাঘটি মারা যায়।

প্রথম বাঘিনীটির কবলে পড়ে নিহত হন একজন বৃদ্ধা। মুখ থেতলানো অবস্থায় পিঠে অনেক আঘাতের চিহ্নসহ তাঁকে একটি তুলা ক্ষেতে পাওয়া যায়। এরপর শিকার হন একজন কৃষক; বামহাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে যায় বাঘটি। এরপর গত আগস্টের মাঝামাঝি ভাগুজি কানাধারী নামের একজন রাখালের থেতলানো শরীর গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ছিলেন বাঘটির ১২তম শিকার। ডিএনএ টেস্ট, ক্যামেরা ফাঁদ, বিভিন্ন চিহ্ন এবং পায়ের ছাপের মাধ্যমে দেখা যায়, এই বাঘটাই ১৪ জনকে হত্যা করেছে।

জানা গিয়েছে, বাঘিনী অভনীর দুটি শাবকও রয়েছে। তাদের বয়স ১০ মাস। এবিষয়ে ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাকটিভিস্ট জেরিল এ বানাইট বলেন, বাঘিনীকে না মেরে তাকে জীবিত ধরা উচিত ছিল। এর ফলে তার বাঘিনীর দুই শাবককে অনাথ করে দেওয়া হল। বন দফতর তাকে জীবিত খাঁচায় বন্দী করতেই পারত।