ভিন ধর্মের মেয়েকে বিয়ে করায় মালদার যুবককে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হলো
মালদা: ভিন্ন ধর্মের মেয়েকে বিয়ে করার ‘অপরাধে’ প্রথমে লাঠি দিয়ে মার। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ। বেধড়ক মার খেয়ে তখন বাঁচার আর্তি জানানোর ক্ষমতাটুকুও ছিল না মালদার বাসিন্দা বছর চব্বিশের ওই যুবকের। ধুঁকছিলেন বটে, কিন্তু তখনও প্রাণ ছিল দেহে। সেটুকুও কেড়ে নিতে কেরোসিন ঢেলে দেশলাই জ্বালিয়ে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়া হল তাকে। তবু মৃতপ্রায় যুবককে বাঁচাতে এলেন না কেউ, বরং লেন্সবন্দি করা হল গোটা ঘটনার ভিডিও।
ওই ভাইরাল ভিডিওর ক্লিপিং সম্প্রচার হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে তড়িঘড়ি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাবচন্দ কাটারিয়াকে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। মূল অভিযুক্ত শম্ভুলাল রেগারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
It is shocking how he killed the man and made a video of it. Accused has been arrested and a special investigation team (SIT) has been set up for investigation in the case: Gulab Chand Kataria, #Rajasthan Home Minister on incident in Rajsamand where a man was burnt to death. pic.twitter.com/4d7vbPc3NH
— ANI (@ANI) 7 December 2017
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পরনে লাল শার্ট, সাদা প্যান্ট, পায়ে সাদা স্নিকার- কার্যত কেতাদুরস্ত এক ব্যক্তির চরম হিংসার শিকার হয়েছেন আফরাজুল। প্রথমে তাকে কোপানো হয়। পরে মাটিতে ফেলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভিডিওতে দেখতে পাওয়া লাল জামা পরিহিত ওই ব্যক্তিকে বলতেও শোনা যায়, এই কাজের জন্য ‘ উচিত শিক্ষা’ দেওয়া হয়েছে তাকে।
জানা গেছে, কাজের সূত্রে রাজস্থানে গিয়েছিলেন মালদার যুবক মহম্মদ আফরাজুল। সেখানেই কাজ জুটিয়ে চলছিল দিন গুজরান। কিন্তু রাজস্থানের মেয়ে রুমার প্রেমে পড়ে যান তিনি। সমাজ, পরিবার, ধর্মকে ফুত্কারে উড়িয়ে তাদের ভালবাসা পরিণতি পায়। বিয়ে করেন দুজনে। কিন্তু শেষমেশ ভালবাসার ‘অপরাধে’ নিজের প্রাণটাই দিতে হল আফরাজুলকে।