২০০৫ সালে ‘এনআরসি’র দাবিতে স্পিকারের মুখে কাগজ ছুড়েছিলেন মমতা
কলকাতা: শনিবার প্রকাশিত এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ নাম। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর বিজেপিকে টুইটে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মমতা লিখেছেন, এনআরসি থেকে যারা রাজনৈতিক লাভ তোলার চেষ্টা করছিল তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে এনআরসি বিপর্যয়। এদের দেশের কাছে অনেক কিছুর জবাব দিতে হবে। এই ঘটনা তখনই ঘটে, যখন কেউ খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এই ধরনের কাজ করে। বৃহত্তর সমাজের ভালোর জন্য কেউ এই কাজ করে না।
অসমে বাঙালিদের উদ্দেশ্য়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, এই ধরনের প্রক্রিয়ার জাঁতাকলে যারা পিষ্ট হচ্ছেন, তাঁদের পাশে রয়েছেন তিনি। বিশেষ করে অসমের বাংলাভাষী ভাইবোনেদের পাশে তাঁর মন পড়ে রয়েছে।
অথচ দেশের রাজনৈতিক অতীত বলছে অন্য কথা। ২০০৫ সালের ৪ আগস্ট এই এনআরাসি ইস্য়ুতেই লোকসভার স্পিকারের মুখে কাগজ ছুড়েছিলেন মমতা। তখন তাঁর বক্তব্য ছিল, পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্য়া পরিবর্তন করে দিচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা। তাই অবিলম্বে এই নিয়ে সংসদে তাঁকে বলতে দেওয়া হোক। যদিও স্পিকার তাঁর কথায় গুরুত্ব না দেওয়ায় ওয়েলে নেমে আসেন তৃণমূল নেত্রী। শেষে তাতেও কাজ না হওয়ায় স্পিকারের মুখে কাগজ ছুড়ে দেন তিনি। আসনে ফিরে কাঁদতে শুরু করেন মমতা। সেই সময় দেশে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের শাসন ছিল। অন্যদিকে এনডিএ-র শরিক ছিল তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সালে ১৯ শতাংশ মুসলমান ছিল পশ্চিমবঙ্গে। বর্তমানে সংখ্যাটি বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। বিজেপির অভিযোগ, এই বিষয়ে রাজ্যে সিপিএম, বামদলগুলি, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত নীরব। কারণ অনুপ্রবেশকারীরাই এই দলগুলির শক্তি।