আমি ব্যক্তি জীবনে ল’ইয়ার, সুযোগের অভাবে প্র্যাকটিস করি না: মমতা
জলপাইগুড়ি: শনিবার জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের বঞ্চনার অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে আমাদের এখানে ৮৮টি ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট ছিল। পরে কেন্দ্রীয় সরকার সব বন্ধ করে দেয়। কিন্তু রাজ্য সরকারের খরচায় সেগুলো চালানো হচ্ছে। এই ফাস্ট-ট্র্যাক আদালতগুলোর মধ্যে ৫৫টিই মহিলাদের জন্য।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৮ সালে ভাবনাচিন্তা হয়েছিল। প্রক্রিয়া দ্রুততর করার জন্য ২০১২ সালে শিলান্যাস করেছিলাম। সব ভালো যার শেষ ভালো। যাই হোক, কোনও বিতর্ক চাই না। তবুও বলব, হয়তো আগেই হয়ে যেতে পারত সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন। দীর্ঘদিনের ইচ্ছেপূরণ হল। আপনাদের মুকুটে বড় অলঙ্কার জুটল।
মঞ্চে উপস্থিত হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি-সহ একাধিক বিচারপতির সামনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এখনও একটা জিনিস মনে করি বিচারটা কার জন্য কাদের জন্য। ছোট মুখে বড় কথা শোভা পায় না। আমি নিজেও একজন আপনাদেরই গোত্রের লোক। হয়তো সুযোগ পাই না তাই প্র্যাকটিস করতে পারি না। কিন্তু আমি নিজেও ব্যক্তিগত জীবনে একজন আইনজীবী, তাই মানুষের কষ্ট বুঝি। এই সার্কিট বেঞ্চ গঠনের ফলে মানুষের অনেক উপকার হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এক সময়ে এমএ, বিএড আর এলএলবি একসঙ্গে পড়েছি। তখন ওরকম নিয়ম ছিল। কিন্তু এখন আমাদের রাজ্যে অনেক ডাক্তার এমডি-এমএস পড়তে চান কিন্তু সুযোগ পান না। তিনি বলেন, একজন ল’ইয়ার একসঙ্গে এত কেস নিয়ে ফেলেন যে সামলাতে পারেন না। ভাবুন তো যাঁরা আসেন, তাঁরা কত কষ্ট করে পয়সা জোগাড় করেন। আমরা বলি কোর্টে ছুঁলে আঠারো ঘা। কত মানুষের ঘটিবাটি বিক্রি করে দিতে হয় মামলা লড়তে।