Thursday, November 13, 2025
রাজ্য​

দলে এত ভাঙনের কারণ কি?‌ পিকের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতাঃ গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেবি প্রায় বাংলা দখল করে ফেলেছিল। ৪২ টি আসনের মধ্যে ১৮ টি পেয়েছিল বিজেপি।ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্যে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিমকে নিয়োগ করেছিল তৃণমূল। তবে শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগের পর একের পর এক নেতা তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। যার ফলে আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে বেকাদায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

শুভেন্দু অধিকারী, শীলভদ্র দত্ত–সহ দলত্যাগীদের তালিকা ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে। জোড়াফুল ছেড়ে বিজেপিতে পা বাড়াচ্ছেন শাসকদলের একের পর এক বিধায়ক, সাংসদ, নেতা। এই পরিস্থিতিতে কালীঘাটের বাড়িতে কোর কমিটির বৈঠকে বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পিকে‌র সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

সেখানেই দলের ভাঙন নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয় প্রশান্ত কিশোরকে। সূত্রের খবর, এদিন কালীঘাটের কোর কমিটির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিকে‌র কাছে জানতে চান এই পরিস্থিতির কারণ কী?‌ সমস্যাটা ঠিক কোথায়?‌

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, এমনটা হচ্ছে কেন?‌ আপনার কি মনে হয়! জবাবে প্রশান্ত কিশোর বলেন, বিজেপি বিভিন্নভাবে এজেন্সির ভয় দেখাচ্ছে। অনেকে লোভে পড়েও দল ছাড়ছেন। উত্তরে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, দেখুন, বাকিরা যাঁরা আছেন, তাঁদের বোঝান। অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রী ধারণা করছেন, এই ভাঙন অব্যাহত থাকতে পারে। তাই ঘাসফুল শিবিরকে আরও সচেতন থাকতে হবে।

কোর কমিটির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, কে গেল, কে থাকলো তাতে দলের কিছু আসে যায় না। এ নিয়ে তৃণমূল মোটেই উদ্বিগ্ন নয়। দল অনেক বড়। যাঁরা যাচ্ছে তাঁরা দলের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ভালো হচ্ছে ওঁরা নিজেরাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে। পাতা ঝরে গেলে নতুন পাতা গজাবে।

Somoresh Sarkar

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।