নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন মহারাষ্ট্রের আইপিএস অফিসার আবদুর রহমান
মুম্বাই: লোকসভা এবং রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশের প্রতিবাদে মহারাষ্ট্রের আইপিএস অফিসার আবদুর রহমান পদত্যাগ করলেন। বুধবার টুইটারে তিনি তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ১৯৯৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার আবদুর রহমানের অভিযোগ, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলেহসংবিধানের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করেছে।
গত সোমবার ৩১১-৮০ ব্যবধানে বিলটি লোকসভায় পাশ হওয়ার পর বুধবার রাজ্যসভাতে ১২৫-১০৫ ব্যবধানে পাশ হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু, শিখ, খ্রিষ্টান, জৈন, পার্সি এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।
আবদুর রহমান টুইটারে বিলটির তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এই বিল ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৫ এবং ২১ অনুচ্ছেদ বিরোধী। বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে তিনি মঙ্গলবার থেকে কাজে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর এখন চাকরিই ছাড়ার ঘোষণা দিলেন।
This Bill is against the religious pluralism of India. I request all justice loving people to oppose the bill in a democratic manner. It runs against the very basic feature of the Constitution. @ndtvindia@IndianExpress #CitizenshipAmendmentBill2019 pic.twitter.com/1ljyxp585B
— Abdur Rahman (@AbdurRahman_IPS) December 11, 2019
The #CitizenshipAmendmentBill2019 is against the basic feature of the Constitution. I condemn this Bill. In civil disobedience I have decided not attend office from tomorrow. I am finally quitting the service.@ndtvindia@IndianExpress #CitizenshipAmendmentBill2019 pic.twitter.com/Z2EtRAcJp4
— Abdur Rahman (@AbdurRahman_IPS) December 11, 2019
During the passage of the Bill, wrong facts, misleadingly information, wrong logic were produced by the HM. History was distorted. The idea behind the bill is to stoke fear in Muslims and divide the nation.
We condemn#CitizenshipAmendmentBill— Abdur Rahman (@AbdurRahman_IPS) December 10, 2019
টুইটারে পদত্যাগপত্রের ছবিও দিয়েছেন আবদুর রহমান। টুইটে আবদুর রহমান বলেন, এই বিল ভারতের ধর্মীয় বহুত্ববাদের বিরোধী। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। এই বিল আইনে পরিণত হলে সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব বিঘ্নিত হবে। ন্যায়বিচারের পক্ষের সব মানুষকে গণতান্ত্রিক পন্থায় এই বিলের বিরোধিতা করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।