সাত সকালে গঙ্গার ঘাটে তর্পণ সারলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা: শিউলির গন্ধ-মাখা হিমে-ভেজা শরৎকালের ভোরে পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা। রেডিও থেকে ভেসে আসে- “আজ দেবীপক্ষের প্রাক-প্রত্যুষে জ্যোতির্ম্ময়ী জগন্মাতা মহাশক্তির শুভ আগমন-বার্তা আকাশ-বাতাসে বিঘোষিত। মহাদেবীর পুণ্য স্তবনমন্ত্রে মানবলোকে জাগরিত হোক ভূমানন্দের অপূর্ব প্রেরণা। আজ শারদ গগনে-গগনে দেবী ঊষা ঘোষণা করছেন মহাশক্তির শুভ আবির্ভাব-ক্ষণ।”
আশ্বিনের শারদপ্রাতে মহালয়ায় সূচনা হল দেবীপক্ষের। গঙ্গার ঘাটে ঘাটে তর্পণের ভিড়। আকাশে বাতাসে দেবীর আগমনী। শনিবার ভোর থেকেই তিলধারণের জায়গা নেই বাগবাজার, শোভাবাজার, আহিরীটোলা সহ গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে। যে কোনও ধরনের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে ঘাটগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও ডুবুরি। টহল দিচ্ছে রিভার ট্রাফিক পুলিশও।
এদিন বাগবাজার গঙ্গার ঘাটে তর্পণ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। দলের ৮০ জন শহিদের প্রতি তর্পণ করল গেরুয়া শিবির। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। দলের তর্পণ কর্মসূচিতে অংশ নেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।