পরিমাণের চেয়ে কম রেশন, চালে পোকা; হুগলিতে ডিলারকে পিঠমোড়া করে বেঁধে রাখলো স্থানীয়রা
হুগলি: রাজ্য জুড়ে লকডাউনের জেরে গরিব অসহায় মানুষের রোজগার বন্ধ। কঠিন এই পরিস্থিতিতে তাঁদের একমাত্র ভরসা রেশনের চাল-ডাল-গম। তবে করোনা আবহেও রেশন ব্যবস্থা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে বলে লাগাতার অভিযোগ উঠছে। রেশন দুর্নীতি রুখতে ইতিমধ্যেই বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে নবান্ন। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৯ রেশন ডিলারকে। এবং শোকজ করা হয়েছে ২৭১ জনকে। তবুও রেশন দুর্নীতি অব্যাহত।
এবার নিম্নমানের সামগ্রী এবং কম রেশন দেওয়ার অভিযোগে ডিলারকে বেঁধে বিক্ষোভ দেখাল হুগলির শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরে গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, কার্ড থাকা সত্ত্বেও পরিমাণের চেয়ে কম চাল-গম দেওয়া হচ্ছিল। এমনকী চালে পোকাও ছিল। এরপরেই অভিযুক্ত রেশন ডিলার গৌতম মণ্ডলকে চেপে ধরেন গ্রাহকরা। সদুত্তর না মেলায় ডিলারকে দোকানে ভিতরে পিঠমোড়ে করে বেঁধে রাখা হয়। দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। পুলিশের বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে গত শনিবার রেশন পরিমাণে কম দেওয়া এবং খাদ্যশস্যের গুণগত মান খারাপ হওয়ায় অভিযোগে মুর্শিদাবাদের সালারের পুণশ্রী গ্রামে এক ডিলারের বাড়িতে হামলা চালালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই ডিলারের বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুনও।
রেশন কম দেওয়ার অভিযোগে নন্দীগ্রামে ডিলারের স্কুটার ভাঙচুর করা হয়। বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। তবে অভিযুক্ত ডিলার পলাতক। লকডাউনের সময়ে রেশন নিয়ে যতদিন যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ততই বাড়ছে। ফলে লকডাউনের এই কঠিন পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে রেশন দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে সরকার।
