Monday, November 17, 2025
রাজ্য​

নবান্ন অভিযানে বেধড়ক মার খাওয়া বাম যুব কর্মীর মৃত্যু

কলকাতা: নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhiyan) ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছিল পুলিশ। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাম যুব কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার (Maidul Islam Midda)। চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ মৃত্যু হল তাঁর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পুলিশের বেধড়ক মারের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ৩১ বছর বয়সী ওই যুব নেতার। ইতিমধ্যেই পুলিশে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

গত ১১ তারিখে নবান্ন অভিযান গুরুতর আহত হন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা মইদুল। সেদিনই তাঁকে কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের লাইফ লাইন নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। চিকিসকরা জানিয়েছেন, মৃতের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। লাঠির গুরুতর আঘাত ছিল।

মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলেছেন, মারধরের জেরেই মৃত্যু হয়েছে মইদুলের। তাঁর সারা শরীরে মারের চিহ্ন। প্রচন্ড মারের ফলে ওঁর পেশির ভেতরে ক্ষত হওয়ায় প্রচুর প্রোটিন শরীর থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। প্রোটিন বেরিয়ে যাওয়ায় ওঁর কিডনি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওঁর ফুসফুসে জল জমতে শুরু করে। ১৩ তারিখ কিডনির সমস্যা সামনে আসে। রবিবার মইদুলের শরীরের আরও অবনতি হয়। রাতের দিকে সামান্য উন্নতি হয়েছিল। সোমবার সকালে হঠাৎ একটা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে উনি মারা যান।

জানা গিয়েছে, মইদুল পেশায় অটোচালক। ডিওয়াইএফআইয়ের বাঁকুড়ার গোপীনাথপুর ইউনিটের সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানে সামিল হন তিনি। একদম সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ লাঠির আঘাত লাগে তাঁর। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন মইদুল। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। সোমবার সকালে থেমে গেল তাঁর লড়াই।

গত ১১ তারিখের নবান্ন অভিযানে পুলিশের মারে বহু বাম কর্মী-সমর্থকের মাথা ফাটে। টিয়ার গ্যাস ছোড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়ন বহু বাম ছাত্র-যুবরা। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অনেককে। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে।

Somoresh Sarkar

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।