Monday, March 17, 2025
বিনোদন

নকল করে বেশি দূর যাওয়া যায় না, নিজস্বতা দরকার, রানু প্রসঙ্গে বললেন লতা

মুম্বাই: ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছিল রানু মণ্ডলের ‘এক প্যার কা নগমা হ্যায়’। লতাকণ্ঠী হিসেবে প্রায় রাতারাতিই তাঁকে বিখ্যাত করে তোলেন নেটিজেনরা। সুরকার হিমেশ রেশমিয়ার হাত ধরে বলিউডে একের পর এক রেকর্ডিং করছেন রানু মণ্ডল। ইতিমধ্যেই তিনটে গান গাওয়া হয়ে গিয়েছে পরিবার-পরিত্যক্ত, রানাঘাট স্টেশনে পড়ে থাকা রানু মণ্ডলের। অধিকাংশই তাঁকে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তুলনা করছেন।

এই গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে সম্প্রতি প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের কাছে। কারণ তাঁকে নকল করেই তো লাইমলাইটে এসেছেন রানু। কিংবদন্তি গায়িকা জানিয়েছেন, আমার নাম এবং কাজ যদি কোনও মানুষের জীবনে ভালো করে তবে সেটা আমার সৌভাগ্য।

কিন্তু কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর এখানেই থেমে থাকেননি। নকল বিষয়টা যে তিনি মোটেই পছন্দ করেন না, সেটা খুব একটা রাখঢাক না করেই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার এটাও মনে হয় যে সফল হতে গেলে নকল খুব একটা ভরসাযোগ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী সহায় নয়। আমার, কিশোরদার, রফি সাহেবের, মুকেশ ভাইয়ার অথবা আশার গানগুলি গেয়ে নতুন গায়ক-গায়িকারা অল্প সময়ের জন্য কিছু মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। কিন্তু সেটা বেশিদিন টিকবে না।

প্রসঙ্গত, রানাঘাট স্টেশনে বসে লতা মঙ্গেশকরের ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানটি গেয়েই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যান রানু মণ্ডল। এরপর হিমেশ রেশমিঁয়া তাঁর ছবি ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’-এর জন্য রানুকে দিয়ে রেকর্ড করিয়েছেন দুটি গান– তেরি মেরি কাহানি ও আদত। প্রথমটিতে হিমেশের সঙ্গে যুগলবন্দীতে গেয়েছেন রানু। গানগুলো ইন্টারনেটে সাড়া ফেলে দেওয়ার পরে রাতারাতি পাল্টে গিয়েছে রানু মণ্ডলের জীবন।