ধর্ষণের পর প্রেমিকার নলি কেটে খুন করেছিল মাহাবুর রহমান
কুমারগঞ্জ: অন্য যুবকের সঙ্গে প্রেমিকার বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রেমিকাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে প্রেমিক মাহাবুর রহমান। সেই মতোই প্রেমিকাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন মাহাবুর। প্রেমিক মাহবুরের কথায় ফুলবাড়িতে চাদর কিনতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী।
ওই কিশোরী, মাহাবুর এবং মাহাবুরের দুই বন্ধু পঙ্কজ ও গৌতম দিনভর একসঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। সন্ধ্যায় তিন যুবক কিছু খাবার ও মদ কিনে বেলঘর এলাকার নির্জন মাঠে দাঁড়ায়। ওই তিন যুবক মদ্যপান করে। এরপর কিশোরীকে প্রথম ধর্ষণ করে মাহাবুর। তারপর অন্য দুই বন্ধু। বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা চার ঘন্টা নারকীয় অত্যাচার চলে। প্রচন্ড ঠান্ডা ও নির্যাতনে কিশোরী জ্ঞান হারায়। এরপর চাকু দিয়ে কিশোরীর গলার নলি কেটে খুন করে মাহাবুর।
খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য মাহাবুর নিজের বাইক থেকে পেট্রোল এনে কিশোরীর দেহে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘটনায় মাহাবুর রহমান, পঙ্কজ বর্মণ ও গৌতম বর্মণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় তারা সবকিছু স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই অপরাধে মূল ভূমিকা ছিল মাহবুর।
সোমবার সকালে বেলঘর এলাকা থেকে ওই কিশোরীর আধপোড়া দেহ উদ্ধার হয়। এরপর তদন্তে নেমে ৩ যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ডি, ৩০২ এবং ২০১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের দিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট পেশ করা হবে। কিশোরীর দেহাংশ ফরেন্সিক টেস্ট করা হবে।