Friday, July 18, 2025
কলকাতা

‘বিজেপিকে ভারত ছাড়া না করা পর্যন্ত দেশজুড়ে খেলা হবে’, হুঁশিয়ারি মমতার

কলকাতা: একুশের বিধানসভা ভোটে গোটা রাজ্য মেতে উঠেছিল ‘খেলা হবে’ স্লোগানে। বুধবার তৃণমূলের শহিদ দিবসের ভাষণেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ফের শোনা গেল ‘খেলা হবে’ স্লোগান। শহিদ দিবস পালনের মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারির সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপিকে যতদিন না দেশ থেকে তাড়াচ্ছি, ততদিন রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে। বুথে বুথে খেলা হবে। সব জায়গায় খেলা হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের একজোট করতে কয়েকদিনের মধ্যেই দিল্লি সফরে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এখন থেকেই আসন্ন লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা দেশজুড়ে এদিন মমতার ভার্চুয়াল বক্তব্য সম্প্রচার হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

এদিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বলেন, খেলা একটা হয়েছে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। আবার খেলা হবে। বিজেপিকে ভারত থেকে বিতারিত করা না অবধি খেলা হবে। মমতা বলেন, আজ আমাদের স্বাধীনতা বিপদে। বিজেপি শুধু জানে গুলি আর গালি। ওটা একটা হাই লোডেড ভাইরাস পার্টি। এজেন্সিকে কাজ লাগানো ছাড়া আর কিছুই বোঝে না ওরা। নিজের দলের লোকেদেরও ভরসা করে না, এমন দল। দলের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও সংস্থাকে ব্যবহার করে ওরা।


তৃণমূল নেত্রীর কথায়, বিজেপি কেবল স্পাইগিরি করতেই পারে। আর কিচ্ছু জানা নেই ওদের। এভাবে কোনওদিনও জয়ী হওয়া যায় না। বিজেপির কোনও সংস্কৃতিই নেই। মমতার দাবি, পেগাসাসের নামে আমার-আপনার ফোনও ট্যাপ হচ্ছে। আপনি বাড়িতে কখন ঘুমাচ্ছেন সেটাও ফোনে দেখা যাবে। ফোন ট্যাপের কারণে কাউকে ফোন করতে পারি না। আমার ফোন ট্যাপ হচ্ছে, রেকর্ড করা হচ্ছে। আমার ফোনের ক্যামেরা ঢেকে দিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বিজেপি। গণতান্ত্রিক অধিকার নষ্ট করছে ওরা। মানুষকে হেনস্থা করছে। একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে বিজেপি।

মমতার অভিযোগ, ফোন ট্যাপের জন্য তিনি চিদাম্বরমজির সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারেন না। শরদ পাওয়ারজি, দিল্লি, ওড়িশা বা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন না। গরিবদের টাকা দেওয়ার পরিবর্তে, গুপ্তচরবৃত্তির জন্য টাকা খরচ করছে কেন্দ্র বলে অভিযোগ করেন মমতা! তাঁর কথায়, দেশে মোদী সরকার স্পাইইং, বিটিং, কিলিং অ্যান্ড টকিং টু মাচ, ডুইং নাথিংয়ের রাজনীতি চালাচ্ছে।

পাশাপাশি, মমতা ঘোষণা করেন, ১৬ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গে খেলা হবে দিবস পালন করা হবে। ওই দিন রাজ্যের ক্লাবগুলোকে ফুটবল দেওয়া হবে।