Friday, April 19, 2024
দেশ

‘আমাকে মগজ ধোলাই করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল’

তিরুবনন্তপুরম: জন্মসূত্রে ছিলেন হিন্দু পরিবারের মেয়ে৷ কলেজের মুসলিম বন্ধুদের দ্বারা মগজ ধোলাইয়ের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি৷ দেড় মাসের ব্যবধানে অবশ্য স্বধর্মে ফিরে এসেছেন আথিরা৷

২৩ বছর বয়সী হিন্দু মেয়ে আথিরা কেরালার কাসারগডের উড়ুমা এলাকার বাসিন্দা। চলতি বছরের জুলাই মাসে বাড়ি ছাড়ার পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় এক সাংবাদিক সম্নেলন ডেকে তিনি বলেছিলেন, “আমি নিজের স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি।” আথিরা থেকে নাম পাল্টে হয়ে যান আয়েশা৷

আথিরা

দেড় মাসের ব্যবধানেই তাঁর সেই চিন্তাধারা বদলে গেছে। সম্প্রতি গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭) আরও একটি সম্নেলন ডাকেন আয়েশা। তবে, এবার সাংবাদিক সম্নেলন করলেন ওঁ নমঃ শিবায় উচ্চারণ করে। বললেন, “আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই বাবা-মায়ের ইচ্ছেমতো আবার হিন্দুধর্ম গ্রহণ করছি।”

আথিরা সাংবাদিকদের জানান, “আমার কলেজের মুসলিম বন্ধুদের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকর্ষিত হয়ে পড়ি। তারা আমাকে হিন্দুধর্মের বহু দেব-দেবীগণদের নিয়ে খারাপ দিকের কথা বলে। মুসলিম পণ্ডিতদের উপদেশ শোনার জন্য বলতে থাকে। বন্ধু অনিশার ভাই সিরাজ ছিল আমার ধর্মান্তরের পিছনে মূল চালিকা শক্তি। সিরাজই আমার বাড়ি ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের কথা বলে।”

এরপর শিরিফা নামে এক বন্ধুর ভাইয়ের মাধ্যমে আথিরা মালাপ্পুরামের ধর্মীয় পণ্ডিত আসিফ উস্তাদের সংস্পর্শে আসেন। যোগ দেন ‘হিদায়াত সিস্টারস’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। এরপর সিরাজের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন আথিরা। হিন্দু ধর্ম ছেড়ে গ্রহণ করেন ইসলাম ধর্ম। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর আথিরার নাম হয় আয়েশা।

আথিরা বলেন, ইসলামের উপর বেশ কিছু বই তাকে পড়তে দেওয়া হয়৷ তার কথায়, ‘‘সেই বইগুলিতে নরক নিয়ে যা বর্ণনা দেওয়া আছে তা পড়ে ভয় পেয়ে যাই৷ রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল৷ খালি মনে হত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করলে ওই নরক যন্ত্রনার মধ্যে দিয়ে আমাকে যেতে হবে৷’’ তাকে ইসলাম ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনতে বলা হয়৷

পরিবারের সঙ্গে আড়ষা বিদ্যা সমাজম পরিদর্শনের পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি ফের হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, “ধর্মান্তরিত হওয়ার পর আমি বুঝতে পারি, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা আমার ভুল ছিল। আমার বিশ্বাস সম্পর্কে সেই সময় আমার বেশি জ্ঞান ছিল না। এখন আছে, এখন হিন্দু ধর্মের প্রতি বিশ্বাস অনেক বেড়ে গিয়েছে৷।”