Thursday, January 23, 2025
দেশ

বাংলাদেশি হিন্দুদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হোক, আমদানি-রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হোক: কার্তিক মহারাজ 

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর ক্রমাগত হামলার প্রতিবাদে এবং তাদের অধিকার রক্ষার দাবিতে ধর্মতলা চত্বরে বৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো। বৃহস্পতিবার আয়োজিত এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজ এবং পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সমাবেশে কার্তিক মহারাজ কড়া ভাষায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হওয়া নির্যাতনের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হচ্ছে এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় দাস প্রভুকে কারাগারে রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে তিনি ভারত সরকারকে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি বন্ধ করার আহ্বান জানান।

কার্তিক মহারাজ স্পষ্ট করেন যে, আলু-পেঁয়াজের মতো প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ বন্ধ করলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি সংকটময় হবে। তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতীয় সেনা ও জনগণের অবদান ভুললে চলবে না। এই নির্যাতনের অবসান হওয়া উচিত।”

হিন্দুদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার দাবি

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন বন্ধ না হলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়ার দাবিও তোলেন কার্তিক মহারাজ। পাশাপাশি, নির্যাতিত হিন্দুদের জন্য ভারতীয় সীমান্ত খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বান করেন, যাতে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখেন।

বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

এদিনের সমাবেশে কার্তিক মহারাজ জানান, যদি বাংলাদেশের নির্যাতিত হিন্দুদের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়া হয় এবং ইসকনের চিন্ময় প্রভুকে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ করে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, আজকের সভায় কোনো বিজেপি নেতৃত্ব দলীয় পতাকা বহন করেননি। পরিবর্তে, ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃত্বে গেরুয়া বসনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে এই ধরনের সমাবেশ ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে বড় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।