Wednesday, April 23, 2025
Latestদেশ

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জয়মাল্য বাগচী

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জয়মাল্য বাগচী। সোমবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। গত ৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর নিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছিল। সেই সুপারিশ গৃহীত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই বিচারপতি বাগচীকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে উন্নীত করা হয়।

বিচারপতি বাগচীর নিয়োগের তাৎপর্য

সুপ্রিম কোর্টে মোট ৩৪ জন বিচারপতি থাকার অনুমতি রয়েছে। তবে বিচারপতি বাগচীর নিয়োগের আগে দু’টি পদ খালি ছিল। তাঁর নিয়োগের ফলে এখন আর মাত্র একটি শূন্যপদ অবশিষ্ট রয়েছে। বিচারপতি বাগচীর কার্যকাল বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ তিনি ২০৩১ সালের মে মাসে দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তবে তাঁর প্রধান বিচারপতি হিসেবে মেয়াদ হবে মাত্র চার মাসের কিছু বেশি, কারণ তিনি ২০৩১ সালের ২ অক্টোবর অবসর গ্রহণ করবেন।

বিচারপতি বাগচীর বিচারিক যাত্রা

জয়মাল্য বাগচী ২০১১ সালের জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে বদলি করা হয়। তবে ২০২১ সালের নভেম্বরে তিনি পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসেন। হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে ১৩ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি আইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছেন।

কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান

২০১৩ সালে বিচারপতি আলতামাস কবীর প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসর নেওয়ার পর থেকে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আর কোনো বিচারপতি দেশের সর্বোচ্চ বিচারিক পদে নিয়োগ পাননি। বিচারপতি বাগচীর নিয়োগ সেই দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে একমাত্র বিচারপতি হিসেবে ছিলেন দীপঙ্কর দত্ত।

কলকাতা হাইকোর্টের গর্ব

বিচারপতি বাগচীর নিয়োগ কলকাতা হাইকোর্টের জন্য গর্বের বিষয়। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ অন্যান্য বিচারপতিদের সম্মিলিত সর্বভারতীয় সিনিয়রিটির নিরিখে তিনি ১১তম স্থানে ছিলেন। বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের অবসর গ্রহণের পর বিচারপতি বাগচী দেশের প্রধান বিচারপতির পদে আসীন হবেন।

আইনজীবী মহলে প্রতিক্রিয়া

বিচারপতি বাগচীর নিয়োগে আইনজীবী মহল এবং কলকাতা হাইকোর্টের সহকর্মীরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং সুবিবেচনাপূর্ণ রায়গুলি সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্ব পালনে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অনেকে।

বিচারপতি বাগচীর প্রধান বিচারপতি হওয়ার সম্ভাবনা এবং তাঁর সংক্ষিপ্ত মেয়াদ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিচারপতি হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং বিচারবোধ সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়বিচারের মান আরও সমৃদ্ধ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।