আজ থেকে জম্মু–কাশ্মীর ও লাদাখ আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলো
শ্রীনগর: কেন্দ্রীয় সরকার গত ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করার প্রায় তিন মাস পরে, বুধবার মধ্যরাত থেকে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৪ তম জন্মবার্ষিকীতেই জম্মু–কাশ্মীর ও লাদাখ আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হলো। দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের পরে জম্মু ও কাশ্মীরের উপর আরোপ করা রাষ্ট্রপতি শাসনও বাতিল করা হয়েছে।
আগে ভারতের ২৯টি রাজ্য আর ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাব করা হতো, যা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় বদলে গেল। ১২টার পর রাজ্যের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৮, অন্যদিকে বেড়েছে ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ভারতের রাজ্যসংখ্যা কমে এখন ২৮টি। আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯টি।
আজ, বৃহস্পতিবারই গিরিশচন্দ্র মুর্মু জম্মু ও কাশ্মীরে এবং রাধাকৃষ্ণ মাথুর লাদাখে উপরাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেবেন। দুটি এলাকারই পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা থাকবে কেন্দ্রের হাতে। জমির বিষয়টি দেখবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্বাচিত সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা থাকবে, কিন্তু লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকবে না। লাদাখও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকবে যা পরিচালনা করবেন সেখানকার লেফটেন্যান্ট গভর্নর।
কেন্দ্রের মোদী সরকার ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে। রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ফলে রাজ্যের লোকেরা দেশের অন্যান্য অংশের মতো একই সাংবিধানিক সুবিধা পাবে এবং এখানকার উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।