জয় শ্রীরাম স্লোগান খুন এবং ধর্ষণের স্লোগান: তৃণমূল সাংসদ কাকলি
কলকাতা: জয় শ্রীরাম একটি সংস্কৃত অভিব্যক্তি যার মানে ‘ভগবানের রামের গরিমা’ কিংবা ‘ভগবান রামের বিজয়’ বোঝানো হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে এই স্লোগানে রাজনৈতিক রঙ লেগেছে। তৃণমূল শিবির মনে করে এটি বিজেপির রাজনৈতিক স্লোগান। অতীতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ায় তিনি ক্ষেপে যান। এরপর থেকেই স্লোগানটি নিয়ে আরো তীব্র হয় রাজনৈতিক তরজা। সম্প্রতি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের জন্মজয়ন্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া হয়। প্রতিবাদে নিজের বক্তব্য রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী।
‘জয় শ্রীরাম’ (Jai Shri Ram) স্লোগান নিয়ে ফের তরজায় নামল তৃণমূল এবং বিজেপি। শনিবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে একটি বিতর্ক শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (TMC MP Kakoli Ghosh Dastidar) এবং বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র।
বঙ্গ বিজেপি ওইশোয়ের একটি অংশের ভিডিয়ো টুইটারে আপলোড করা হয়। সেই ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা ট্রিবিউন) কাকলিকে বলতে শোনা যায়, ‘জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে এরা ২০১৪ সাল থেকে ভারতে হত্যালীলা শুরু করে দিয়েছে। তাঁরা যে যে বিষয়ে কথা বলছেন, যেখানে যেখানে বিজেপির সরকার আছে, সেখানে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে হত্যা করেছে ওরা, মহিলাদের ধর্ষণ করেছে, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
“Jai Shri Ram” is a ‘murder and rape slogan’ says TMC MP Kakoli Ghosh Dastidar on national TV!
Does she hate Hinduism because she is a TMC MP, or is she a TMC MP because she despises Hinduism? Pointless, really. “Appeasement politics & frustration?” Now, that’s a question! pic.twitter.com/oEs4FCNGYw
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) March 13, 2021
তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ তোলেন সম্বিত। তিনি বলেন, দেশের একজন সাংসদ, তৃণমূলের একজন সাংসদ এরকম ভাষার ব্যবহার করছেন যে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে ধর্ষণ করা হয়! জয় শ্রীরাম একটি হত্যার স্লোগান! সেই স্লোগান বলে হত্যা করা হয়।
কাকলিকে ক্ষমা চাইতে বলেন সম্বিত। পাশাপাশি, বিজেপি নেতা আরো বলেন, আপনি কখনও বলতে পারবেন যে আল্লাহ-হু-আকবর ধ্বনি দিয়ে কেউ বোমা হামলা করতে পারেন? আপনি কি কখনও বলতে পারবেন যে আল্লাহ-হু-আকবর স্লোগান দিয়ে কিছু লোক সন্ত্রাসবাদী হামলা চালায়? আপনি বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বলতে পারবেন যে আল্লাহ-হু-আকবর বলে কেউ ছুরি দিয়ে মেরে দিয়েছে বা গলা কেটে হত্যা করেছে? এটা আপনাদের মুখ থেকে কখনও বের হবে না।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।

