ইসলামপুর বদলে ঈশ্বরপুর, স্কুলের অনুমোদন বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
রায়গঞ্জ: ইসলামপুরের নাম বদলে স্কুলের সাইনবোর্ডে কেন লেখা হয়েছিল ‘ঈশ্বরপুর’। বিদ্যালয়ের এই নাম বদল নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই আচমকা পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অনুমোদন বাতিল হয়ে গেল ইসলামপুরের সরস্বতী বিদ্যা মন্দির ও সরস্বতী শিশু মন্দিরের। এদিন বিকালে কলকাতার বিকাশ ভবনে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কোনও বক্তব্য দেয়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।
স্কুলের অনুমোদন বাতিল করা হবে কিনা, এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, শুধু ওই স্কুল কেন? অনিয়ম হলে যে কোনও স্কুলেরই অনুমোদন বাতিল করা হবে। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, নাম বদলের ঘটনার তদন্তে এদিন কলকাতায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বৈঠক হয়। তারপরই স্কুলের অনুমোদন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার ফলে মুহূর্তেই এলাকার একটি বহু পুরোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি বিহীন হয়ে গেল।
প্রায় দেড় বছর আগে পাওয়া ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’-এর শীলমোহর খুলে নেওয়ায় কয়েক শতাধিক পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে। চরম বিভ্রান্তির মুখে অভিভাবকরাও। তাঁরা কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। এই বিষয়ে একাধিকবার ফোন ও টেক্সট মেসেজে প্রশ্ন করা হলেও উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার কোনও উত্তর দেননি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পরিচালনায় গড়ে ওঠা সরস্বতী শিশুমন্দির ও বিদ্যামন্দিরের সাইনবোর্ডে ইসলামপুরের বদলে ‘ঈশ্বরপুর’ লেখা একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। নাম বদলের এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতেই শুরু হয় প্রশাসনিক তৎপরতা। স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে কারণ জানতে চায় স্কুল শিক্ষা দপ্তর। এরপরওই স্কুলের অনুমোদন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।