Friday, April 19, 2024
দেশ

হিন্দু ধর্ম গ্রহণের পর জিতেন্দ্র ত্যাগীকে হয়রানির সম্মুখীন হতে হচ্ছে?

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: জিতেন্দ্র সিং ত্যাগী ওরফে ওয়াসিম রিজভি। উত্তরপ্রদেশের শিয়া সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তিনি। ২০২১ সালে সনাতন ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন। তাহলে কি হিন্দু ধর্মে আসার পরেও যোগ্য মর্যাদা পাননি তিনি? কিন্তু কেন?

তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের পুরোহিতরা তাকে চরম নির্যাতন করছেন। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে ঘৃণাসূচক ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ‘ঘৃণাত্মক বক্তৃতার’ জন্য জিতেন্দ্র ত্যাগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ তারা বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচারের জন্য আইপিসি ধারা 153A এর অধীনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিল।

ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জেরেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তাঁর মতে, একেবারে অনাথের মতো থাকতে হচ্ছে আমাকে। কোনও হিন্দু গ্রুপ এমনকি আরএসএসও আমাদের পাশে থাকেনি। প্রয়োজনের সময় কাউকে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না।

কোরানের ২৬টি বিতর্কিত অংশের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি তাকে নানাভাবে নির্যাতন করছে বলেও জানান তিনি।

বিভিন্ন সুন্নি ও শিয়া সংগঠন থেকে ওয়াসিম রিজভির প্রতি ঘৃণার অন্যান্য রূপও রিপোর্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে তার কুশপুত্তলিকা পোড়ানো, তার ফাঁসির দাবি, তার মায়ের কবর ভেঙ্গে ফেলা এবং রিজভী কর্তৃক সংরক্ষিত একটি কবরের ‘বাতিল’ অন্তর্ভুক্ত ছিল। রিজভি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখেছিলেন। সন্ত্রাসবাদী তৈরি করায় মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করার দাবি জানান।

প্রাক্তন জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হাসান। বলেছিলেন, “রিজভী হিন্দু বা মুসলিম নন, তিনি একজন শয়তান এবং যে কেউ এই শয়তানের শিরশ্ছেদ করা মাথাটি আমার কাছে নিয়ে আসবে, তাকে পুরস্কার হিসাবে ১১ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এটা যদি ইসলামী আইনে ঘটতো তাহলে রিজভীকে এতক্ষণে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলা হতো”।

রিজভি জানান, “বছর দুয়েক আগে স্বপ্নে ভগবান রামকে দেখেছিলাম। তারপর থেকে সনাতন ধর্মের প্রতি তার প্রেম জেগে ওঠে। কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বললে হিন্দু গ্রুপ গুলি তাকে খুব সাপোর্ট করে। কিন্তু প্রয়োজনের সময় ওরা পাশে থাকে না।”

তথ্যসূত্র: Hindu Post