Saturday, April 20, 2024
আন্তর্জাতিক

হিজাব না পরা নারীদের চিহ্নিত করতে রাস্তাঘাটে ক্যামেরা বসাচ্ছে ইরান

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ইরানে হিজাব না পরা নারীদের শনাক্ত করতে প্রকাশ্য স্থানগুলোয় গোপন ক্যামেরা বসাচ্ছে ইরান। ইরানের পুলিশ জানিয়েছে, যে নারীরা চুল ঢাকা কাপড় পরবেন না, তাদের ‘পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে’ লিখিত বার্তা পাঠানো হবে।

পুলিশের দাবি, হিজাব আইনের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এর ফলে সেটি বন্ধ হবে। গত বছর হিজাব ঠিকমত না পরার অভিযোগ তুলে ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনিকে গ্রেফতার করেছিল ইরানের নৈতিকতা রক্ষক পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হলে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।

মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর গ্রেফতারের ঝুঁকি থাকলেও ইরানে অনেক নারী হিজাব পরা ছেড়ে দিচ্ছেন, বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে।

‘স্মার্ট ক্যামেরা আর অন্যান্য যন্ত্র’ ব্যবহার করে হিজাব না পরা নারীদের শনাক্ত করা হবে। এরপর হিজাব আইন ভঙ্গ করা নারীদের ঠিকানায় কাগজপত্র এবং সতর্ক করে বার্তা পাঠানো হবে।

ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী আইনগতভাবে নারীদের চুল এবং মুখমণ্ডল আবৃত করে হিজাব পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই বিপ্লবের একটা বড় লক্ষ্য ছিল নারীদের খোলামেলা সাজপোশাক বন্ধ করা।

১৯৮১ সালে নারী ও কিশোরীদের ইসলামি রীতি অনুযায়ী আব্রু রক্ষা করার উপযোগী পোশাক পরা আইনত বাধ্যতামূলক করা হয়।

তাতে বলা হয় নারীদের চাদর পরতে হবে অর্থাৎ তাদের পা অবধি পুরো শরীর ঢাকা ঢিলা পোশাক পরতে হবে এবং তার সাথে পারলে নিচে ছোট একটা স্কার্ফ পরতে হবে। অথবা পুরোদস্তুর হিজাব এবং তার সাথে লম্বা হাতা ওভারকোট দিয়ে শরীর ঢাকতে হবে। কিন্তু গত বছর মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর গড়ে ওঠা তীব্র আন্দোলনের পর এখন কর্তৃপক্ষ নতুন করে নজরদারি বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছে। এখন যে নারীরা পোশাক সংক্রান্ত নিয়ম ভঙ্গ করেন, তাদের জরিমানা অথবা গ্রেফতারের শিকার হতে হয়।